দেশজুড়ে

ভাইয়ের লাশ দেখে বোনের মৃত্যু

শেরপুর শহরের সজবরখিলা এলাকায় ভাইয়ের মৃত্যুশোক সইতে না পেরে প্রাণ গেল বোনের। শনিবার সকালে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ভাই আব্দুল মোতালেব ও বোন ফাতেমা বেগমের এমন হৃদয়বিদারক মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার-স্বজন এবং এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতরা হলো, শহরের সজবরখিলা এলাকার মৃত মুসলিম উদ্দিন জমাদারের দ্বিতীয় ছেলে আব্দুল মোতালেব ও মেয়ে ফাতেমা বেগম।প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেরপুর জেলা হাসপাতালে মারা যান আব্দুল মোতালেব। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বড় বোন ফাতেমা বেগম জীবন (৬২) সজবরখিলার বাড়িতে ছোট ভাই মোতালেবের লাশ দেখতে যান। এ সময় তিনি `ভাইরে` বলে চিৎকার দিয়েই জ্ঞান হারান। এরপর দ্রুত শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  ভাই-বোনের এমন মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে পড়েন। ফাতেমা বেগমের লাশ পরে তার স্বামীর বাড়ি শহরের পূর্বশেরী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন ছেলে দুই মেয়ের জননী ফাতেমা বেগম ছিলেন তাদের ১১ ভাই-বোনের মধ্যে একমাত্র বোন। তার স্বামী বিএডিসির অবসরপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইসাহাক উদ্দিন। নিহতদের ছোট ভাই সাবেক পিপি অ্যাড. আব্দুল মজিদ বাদল জানান, আমাদের ১০ ভাইয়ের একমাত্র বোন ছিলেন ফাতেমা। তিনি ছিলেন সবার আদরের। তিনিও সবাইকে ভীষণ আদর করতেন। মোতালেব ভাইর লাশ দেখে `ভাইরে` বলে চিৎকার দিয়েই বড় আপা জ্ঞান হারান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ পরিবারের বড় শোকের দিন। বাদ যোহর বড় ভাই আব্দুল মোতালেবের জানাযা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। রাতে ফাতেমা আপার জানাযা শেষে স্বামীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। হাকিম বাবুল/এআরএ/আরআইপি

Advertisement