বার্সেলোনায় থাকছেন না মেসি- এই কথাটা গত দুই সপ্তাহে সম্ভবত কয়েক লাখবার লেখা হয়ে গেছে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায়। সর্বশেষ বার্সার নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মেসি যা বলে গেলেন, তাতেও তার বার্সায় থাকার ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি। বরং, মনে হচ্ছে যেন সত্যি সত্যি বার্সেলোনা ছেড়ে দেবেন তিনি।
Advertisement
কিন্তু সমস্যা হলো, বার্সা ছাড়ার পর যাবেন কোথায় মেসি? এ নিয়ে চলছে বিস্তর জ্বল্পনা-কল্পনা। কেউ বলছেন, মেসি যাবেন ইতালিতে। সেখানকার ক্লাব ইন্টারমিলান মেসিকে কিনতে ওঁতপেতে আছে। আবার কেউ বলছেন, মেসি যাবেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটিতে। সেখানে রয়েছেন তার পুরনো বস পেপ গার্দিওলা। এই দুই ক্লাবের টক্করের মাঝে উঠে এসেছে পিএসজির নামও।
মেসি যদি বার্সা ছাড়েন এবং যদি সম্ভব হয়, তাহলে তাকে যে কোনো মূল্যেই হোক কিনতে চায় পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পিএসজি কোচ টমাস টুখেল সরাসরি জানিয়ে দেন, তারা যে কোনো মূল্য মেসিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
কিন্তু পিএসজি মালিক স্বাগত জানাতে চাইলেও তো হবে না। কারণ, তার বিশ্বাস, মেসি কখনোই বার্সা ছেড়ে কোথাও যাবে না।
Advertisement
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সার লা মাসিয়ায় যোগ দেন মেসি। ২০০৪ বার্সার সিনিয়র দলের হয়ে খেলার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৭৩০ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন ৬৩৪টি। একই সঙ্গে বার্সার হয়ে মেসি জিতেছেন মোট ৩৩টি শিরোপা। এই পর্যায়ে এসে ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার কিন্তু প্রবেশ করে ফেলেছেন বার্সার সঙ্গে চুক্তির শেষ বছরে।
স্প্যানিশ মিডিয়ায় জোরালো গুঞ্জন, বার্সায় মেসির ভবিষ্যত নিয়ে। কারণ, বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলের বিশাল লজ্জার পর মেসি হয়তো ন্যু ক্যাম্প ছেড়েও দিতে পারেন। কিন্তু পিএসজি কোচ টুখেল মনে করেন, আর্জেন্টাইন এই ফুটবলার বার্সা ছাড়ার কাজটি করতে যাবেন না কখনোই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে পরাজয়ের পর মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে পিএসজি কোট টমাস টুখেল বলেন, ‘তাকে অনেক অনেক বেশি স্বাগতম আমাদের ক্লাবে। কোন কোচ তাকে দলে পেতে চায় না, বলুন? কিন্তু আমি মনে করি, মেসি তার ক্যারিয়ার শেষ করবে বার্সেলোনাতে থেকেই। সে হচ্ছে মিস্টার বার্সেলোনা।’
টুখেল এটাও জানিয়ে দেন, তার ক্লাব সম্ভাব্য খেলোয়াড় কেনা-বেচার দিকে মনযোগ দিয়ে রেখেছে। যাদের আনার লক্ষ্য রয়েছে, তাদেরকে নিয়ে আসা হবে। যাতে করে দলটির শক্তি আরও গভীর হয়ে ওঠে এবং আগামী মৌসুমে যেন কাঙ্খিত লক্ষ্যটা অর্জন হয় তাদের।
Advertisement
টুখেল বলেন, ‘এই পর্যন্ত আসতে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল) আমাদের অনেক কেলোয়াড়কে হারাতে হয়েছে। এই ম্যাচেও যেমন হারালাম থিয়াগো সিলভা, এরিক ম্যাক্সিম চোউপো মোটিংকে। আমরা ট্রান্সফার উইন্ডোটাকে যথাযত ব্যবহার করতে চাই, যেন দলটাকে আরও বড় এবং শক্তিশালী করে তোলা যায়।’
আইএইচএস/পিআর