শহরে থাকেন বলে কি বাগান করার শখটাকে মাটিচাপা দিয়ে রাখবেন? আবার এই শখের বাগান থেকেও এখন মিলছে অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান। রান্না করতে গিয়ে নিজের কাছে দুই-চারটি মরিচ কিংবা টমেটো, কখনোবা একমুঠো ধনে পাতার ব্যবহার খাবারের স্বাদের পাশাপাশি মনের খুশিটাও বাড়িয়ে তোলে। চাইলে বাড়িতেই বীজ তৈরি করে নিয়ে কিচেন গার্ডেন বানানো সম্ভব। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-
Advertisement
সঠিক জায়গাপ্রথমে একটি সঠিক জায়গা বেছে নিন, যেখানে আপনি কিচেন গার্ডেন করতে পারবেন। বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত জায়গা থাকে, তবে তো কথাই নেই। আর যদি জায়গা অপ্রতুল হয়, সেক্ষেত্রে রান্নাঘরের জানালায় অথবা বারান্দায় বা ছাদে- অর্থাৎ যে জায়গায় রোদ আসে, সেখানে কিচেন গার্ডেন তৈরি করতে পারেন।
কোন সবজি বা ফলের গাছ লাগাবেন?বাইরে থেকে বীজ কেনা সম্ভব না হলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাড়িতে যেসব সবজি বা ফল আছে, সেগুলোর বীজ বা অংশ ব্যবহার করতে হবে। শশা, টমেটোর, লেবু, কাঁচা মরিচ ইত্যাদির বীজ টবে বসাতে পারেন। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা ইত্যাদি দিয়েও কিচেন গার্ডেন করতে পারেন।
যত্ন-আত্তি ও রক্ষণাবেক্ষণবাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে বারান্দা বা জানালার উপরে বেজ তৈরি করে নিন। দিনে কম করে হলেও চার থেকে ছয় ঘন্টা যাতে গাছগুলো রোদ পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। দুপুরবেলা সময়ে গাছের গোড়ায় পানি দেবেন না। দুপুরে মাটি গরম থাকার কারণে পানি দিলে বীজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সার হিসেবে চা-পাতা, সবজির খোসা, চাল ধোয়া পানি ইত্যাদি দিতে পারেন।
Advertisement
টবে বৈচিত্রপ্রথমেই কাড়ি কাড়ি টাকা নষ্ট করে টব কেনার প্রয়োজন নেই। বরং বাড়িতে থাকা প্লাস্টিকের নানা বোতল রিসাইকেল করে টব বানাতে পারেন। সবার ঘরেই কম-বেশি কোল্ড ড্রিঙ্কের বোতল থাকে। সেগুলো কাজে লাগান। সেসব বোতল অর্ধেকটা কেটে মাটি দিয়ে বীজ পুঁতে দিন এবং দড়ি দিয়ে গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুন।। বোতলের গায়ে ছোট ছোট ফুটো করে দেবেন যাতে বাতাস ঢুকতে পারে এবং ক’দিন পর বীজ থেকে চারা বের হতে পারে।
এইচএন/এএ/এমএস