আইন-আদালত

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল : জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নোটিশ

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল বন্ধে ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যানসহ আটজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

একইসঙ্গে, গ্রাহকের কাছ গ্রহণ করা ভুতুড়ে বিলের তথ্য বিইআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতেও বলা হয়েছে নোটিশে।

সরকারের জালানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ছাড়াও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ডিপিডিসি ও ডেসকোসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় রিট আবেদন করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাকালে তিন মাস মিটার রিডিং না দেখে করা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের থেকে আদায় বন্ধে রোববার (২৩ আগস্ট) ভোক্তাস্বার্থ নিয়ে কাজ করা কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী নিজেই।

Advertisement

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, তিন মাসের অবৈধ বিল আদায় বন্ধ, ওই বিল বাতিল, মিটার রিডিং দেখে নতুন বিল তৈরি এবং বিলম্ব মাশুল না নিতে নোটিশে বলা হয়েছে। এছাড়া কী পরিমাণ বিল অতিরিক্ত প্রস্তুত করা হয়েছে/গ্রাহকদের থেকে নেয়া হয়েছে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং এটি তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিইআরসি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে রোববার (২৩ আগস্ট) কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এ নোটিশ পাঠান।

করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে দুই মাস ধরে অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ ওঠে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত ২৫ জুন দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। কমিটিগুলোকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের এ সময় শেষ হয় গত ২ জুলাই। এরই মধ্যে ডিপিডিসির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে করোনাকালে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল করার সঙ্গে জড়িত এক নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া দেশের চারটি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ২৯২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটি।

এফএইচ/বিএ/এফআর/এমএস/এমকেএইচ

Advertisement