আন্তর্জাতিক

ভোটগ্রহণে ডাকবিভাগকে বিপুল বরাদ্দ কংগ্রেসের, ট্রাম্পের বিরোধিতা

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডাকযোগে ব্যালট পেপার পরিবহনে ইউএস পোস্টাল সার্ভিসকে (ইউএসপিএস) বিপুল বরাদ্দ দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। নভেম্বরের ভোটগ্রহণে ডাক বিভাগের জন্য ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়ে একটি বিল পাস করেছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ।

Advertisement

গ্রীষ্মকালীন অবকাশে যাওয়া কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের জরুরিভিত্তিতে শুধু ডাক বিভাগ নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে জরুরি এই অধিবেশন ডেকে এই বিল সংক্রান্ত ভোট নেওয়া হয়। বিলটি পাশের পর ট্রাম্প টুইট করে বলেছেন, এই পদক্ষেপ হলো ডেমোক্র্যাটদের ব্যালট কেলেঙ্কারি।

মার্কিন নির্বাচনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ডাক বিভাগ। ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ এ নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে। করোনার কারণে অনেকে ঘরে বসে অর্থাৎ মেইল-ইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে তাদের ভোট প্রদান করবেন। আর এ কারণেই ডাক বিভাগে বরাদ্দ বাড়ানোর পক্ষে কংগ্রেস।

কিন্তু ট্রাম্প প্রথম থেকেই ডাক বিভাগের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের বিরোধী। রিপাবলিকান দলীয় ট্রাম্পের দাবি, এভাবে ভোট হলে ব্যালট জালিয়াতির সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমেরিকার নির্বাচনে মেইল-ইন-ভোটিং একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। প্রতিটি নির্বাচনে অনেকে এই পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে থাকেন।

Advertisement

ট্রাম্প তার ওই টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘পোস্ট অফিসের প্রতিনিধিরা বারবার বলছেন যে তাদের কোনো অর্থের প্রয়োজন নেই এবং তারা এর কোনো পরিবর্তন করবেন না।’ ট্রাম্প এই বিলে ভেটো দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অবশ্য রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি পাসের সম্ভাবনা কম।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রিপাবলিকান এর নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, উচ্চকক্ষ পরিষদ (সিনেট) অবশ্যই এই বিলটি পাস করবে না। এর আগে ইচ্ছেমতো কাজে লাগানোর লক্ষ্যে সম্প্রতি নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে নতুন পোস্ট মাস্টার জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডাক বিভাগের নবনিযুক্ত প্রধান লুউস ডিজয় সার্ভিস কমিয়ে অর্থ সাশ্রয়ের পথ বেছে নিয়েছেন। অথচ করোনার কারণে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দশগুণ বেশি ভোট এবার ডাকযোগে হবে। কোনো কোনো রাজ্যে আগামী মাস থেকেই ডাকযোগে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

এসএ/পিআর

Advertisement