আন্তর্জাতিক

১২ বছরের বেশি বয়সীদের মাস্ক পরতে হবে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধ করতে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব বিধি-নিষেধ মেনে চললে করোনার সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

Advertisement

তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কিভাবে এই বিধি-নিষেধ মানতে হবে সে নিয়ে এতদিন পর্যন্ত পরিষ্কার ধারণা কমই ছিল। এবার শিশুদের মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ওই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি আছে তাদের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো একই পরিস্থিতিতে তাদেরও অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, যেসব স্থানে সামাজিক দূরত্ব মানা যায় না, সেসব স্থানে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী ছেলে-মেয়েদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা উচিত।

Advertisement

এছাড়া যেখানে গেলে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর শঙ্কা থাকে কিংবা সংক্রমিত এলাকায় গেলে অবশ্যই তাদের মাস্ক পরা উচিত। তারপরও ঝুঁকি বিবেচনায় বড়দের তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাস্ক পরানো উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরদিকে, ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মাস্ক পরার ক্ষেত্রে বড়দের তদারকি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনেক শিশু মাস্ক পরে অস্বস্তিবোধ করতে পারে। কিন্তু যেসব স্থানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি সেখানে বড়দের দায়িত্ব হবে ছোটদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ উভয়ই জানিয়েছে যে, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে পাঁচ বছর বা তার কম বয়সের শিশুদের মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়নি।

ওই দুই সংস্থাই বলছে যে, অপেক্ষাকৃত ছোট শিশুদের চেয়ে তুলনামূলক বয়সে বড় শিশুরা করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তবে শিশুদের করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে পরিষ্করভাবে বুঝতে আরও তথ্যের প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

গত ৫ জুন জনসম্মুখে মাস্ক পরার বিষয়ে প্রথম পরামর্শ দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার বিস্তাররোধ করতে অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। তবে এর আগে শিশুদের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা সংস্থাটির পক্ষ থেকে জারি করা হয়নি।

টিটিএন/পিআর