জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের জন্য অভিজ্ঞতাটা নতুন নয়। তারা এরই মধ্যে পাঁচবার জিতেছে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা। ফাইনাল খেলেছে আরও পাঁচবার। অর্থাৎ মোট দশবার ফাইনালে পৌঁছেছে তারা। ফলে তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা বর্তমানে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নতুন কোনো বিষয় নয় বায়ার্নের জন্য।
Advertisement
ঠিক বিপরীত অবস্থা ফ্রেঞ্চ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের। ১৯৭০ সালে যাত্রা শুরু করা ক্লাবটি নিজেদের ৫০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম উঠেছে ফাইনালে। আজ (রোববার) দিবাগত রাত ১টায় বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপার খোঁজে খেলতে নামবে নেইমার-এমবাপেদের পিএসজি।
তবে দুই দল আবার মিলে গেছে একটি বিন্দুতে। সেটি হলো, রাতের ফাইনাল ম্যাচটি যারাই জিতুক না কেন, তাদেরই পূরণ হবে ২০১৯-২০ মৌসুমের ট্রেবল শিরোপা। যা কি না ৬৫ বছরের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত দেখা গেছে মাত্র ৮টি মৌসুমে। ইউরোপের সাতটি ক্লাব মোট ৮ বার একই মৌসুমে জিতেছে তিনটি শিরোপা তথা ট্রেবল।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের একই মৌসুমে ঘরোয়া লিগ, ঘরোয়া কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ (তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপ) জিতলে সেটিকে ট্রেবল হিসেবে আখ্যায়িত। এ কাজটি এতোটাই কঠিন যে ইউরোপের সফলতম ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এখনও পর্যন্ত একবারও পারেনি ট্রেবল জিততে।
Advertisement
এবার সেই সুযোগ পিএসজির সামনে। তারাও আগে কখনও জেতেনি ট্রেবল। রোববারের ফাইনাল ম্যাচটি জিতলেই ইউরোপের অষ্টম ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জেতার গৌরব অর্জন করবে তারা। এদিকেও বিপরীত বায়ার্ন। তারা এরই মধ্যে ২০১১-১২ মৌসুমে পেয়েছে ট্রেবলের স্বাদ।
চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত সম্ভাব্য সকল শিরোপাই জিতেছে পিএসজি। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং লিগ কাপের শিরোপা গেছে তাদের কেবিনেটে। এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতলেই পূরণ হবে ট্রেবল। অন্যদিকে জার্মান বুন্দেসলিগার পাশাপাশি লিগ কাপ তথা ডিএফবি পোকালও জিতেছে বায়ার্ন।
জার্মান ক্লাবটি এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে দুই মৌসুমে ট্রেবল জেতার রেকর্ড গড়বে। এখনও পর্যন্ত দুইবার ট্রেবল জেতা ক্লাব একটি, স্পেনের বার্সেলোনা। তারা ২০০৮-০৮ এবং ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিতেছে ট্রেবল। বায়ার্নের সামনে সুযোগ বার্সার রেকর্ডে ভাগ বসানোর।
অন্যদিকে একবার করে ট্রেবল জেতা ক্লাবগুলো হলো সেল্টিক (১৯৬৬-৬৭), আয়াক্স (১৯৭১-৭২), পিএসভি আইন্ধোবেন (১৯৮৭-৮৮), ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (১৯৯৮-৯৯), ইন্টার মিলা (২০০৯-১০) এবং বায়ার্ন মিউনিখ (২০১২-১৩)। পিএসজির সামনে সুযোগ এ তালিকায় নাম লেখানোর।
Advertisement
এসএএস/পিআর