দেশজুড়ে

নীলফামারীতে করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু

নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত দুই দিনে নতুন করে কারোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে রংপুরের করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আম্বিয়া বেগম (৭৫)। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে একই হাসপাতালে ইমরান আনসারী (৫০) নামের এক ব্যক্তি মারা যান।

আম্বিয়া বেগমের বাড়ি সৈয়দপুর উপজেলা শহরের ধলাগাছ গ্রামের মতির মোড় এলাকায় এবং ইমরান আনসারীর বাড়ি একই উপজেলা শহরের পুরাতন বাবুপাড়ায়। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ জনে।

তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলিমুর বাসার জানান, জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ করেনার লক্ষণ থাকায় গত ১৩ আগস্ট আম্বিয়া বেগমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৫ আগস্ট রাতে দিনাজুপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১৭ আগস্ট অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুরের করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে শনিবার সকাল সাতটার দিকে মারা যান তিনি।

Advertisement

অপরদিকে একই লক্ষণ থাকায় ইমরান আনসারী গত বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নমুনা দিয়ে রংপুরের করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মারা যান তিনি। শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাতে দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগার থেকে তার করোনা পজিটিভ আসে। এ নিয়ে উপজেলায় করেনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র মতে, শনিবার নতুন করে আটজনসহ জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩১ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। চিকিৎসা নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭১৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪০৪ জন, সৈয়দপুর ১০৬ জন, জলঢাকায় ১২৫ জন, কিশোরগঞ্জে ৪৪ জন, ডোমারে ৭০ জন ও ডিমলায় ৮২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন সদরে ৫ জন, সৈয়দপুরে ৫ জন, জলঢাকায় ২ জন ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ১ জন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শনিবার পর্যন্ত ৮৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত মৃত্যুর প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ১২ জনের। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭১৫ জন, বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১০৩ জন।

জাহেদুল ইসলাম/এমএসএইচ

Advertisement