দেশজুড়ে

করোনা নিয়েই প্রতিবাদ সভায় এমপি সাহিদুজ্জামান

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান গত ১৩ আগস্ট থেকে সপরিবারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর করা লকডাউন স্টিকার ঝুলছে তার বাড়িতে। কিন্তু তিনি করোনা সংক্রান্ত সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন। এতে অংশ নেন ৬০-৭০ জন নেতাকর্মী।

Advertisement

সভায় উপস্থিত হওয়া কয়েকজন জানান, শুক্রবার রাত ৯টায় গাংনী পৌরশহরের থানাপাড়া সড়কে নিজ বাসার সামনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি সাহিদুজ্জামান।

তার স্ত্রী লাইলা আরজুমান, ছেলে সাদিউজ্জামান সাইফ, সামিউজ্জামান সামিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি এমপির ব্যক্তিগত গাড়িচালক শামীম পারভেজ, পিএস সবুজ আহমেদ, সহকারী রাশেদ রাইহানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এমপি সাহিদুজ্জামান সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গাংনী পৌরশহরের বাসায় তিনি সপরিবারে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে তিনি ও তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য সুস্থ।

Advertisement

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন জানান, এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার বাসভবন লকডাউন করা হয়েছে ১৪ দিনের জন্য। দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়ে তিনি লকডাউন না মানলে কী করার আছে?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, এমপি সাহিদুজ্জামান সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার বাসা লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনের মাত্র নয় দিন পার হয়েছে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা মানা উচিত।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান সভায় যোগ দেয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমি নয় দিন যাবত করোনা আক্রান্ত হয়ে সপরিবারে হোম আইসোলেশনে আছি। কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার প্রশ্নই আসে না।

আসিফ ইকবাল/আরএআর/এইচএ/জেআইএম

Advertisement