কুমিল্লায় আলী রেজা মিঠু নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণের ৪ মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনার আড়াই মাস পর ৬ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা হলেও আসামি গ্রেফতার বা অপহৃতকে উদ্ধারে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মিঠুর পরিবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাই মিঠুর উৎকণ্ঠিত পরিবার মামলাটি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে। মিঠু জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ব্রাহ্মণখাড়া গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে। মামলার অভিযোগ ও অপহৃত মিঠুর পরিবারের সদস্যরা জানান, দেবিদ্বার উপজেলার ভৈষেরকুট গ্রামের মৃত মকসুদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৮) নিজেকে ‘দয়াল’ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান এবং বিভিন্ন শ্রেণির লোকজনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এভাবেই শহরে বসবাসকারী একই উপজেলার আলী আশরাফের পরিবারের সঙ্গে নুরুল ইসলাম সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আলী আশরাফ ও তার ছেলে আলী রেজা মিঠুর (৪২) কাছ থেকে টাকা নেন তিনি। এক পর্যায়ে ওই টাকা ফেরত চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধ মীমাংসার নাম করে নুরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা গত ৩০ জুন মিঠুকে নগরীর ধর্মসাগরের পাড় থেকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় মিঠুর বোন নাহিদা আক্তার বাদী হয়ে একই দিন কোতয়ালী থানায় নুরুল ইসলামসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। কিন্তু ঘটনার আড়াই মাসেও থানায় মামলা রেকর্ড হয়নি। পরে বাদী পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করলে ১৯ সেপ্টেম্বর নুরুল ইসলামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় অপহরণ মামলা রেকর্ড করা হয়। কিন্তু এ অপহরণের ঘটনার চার মাস পার হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও মিঠুকে উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ। মামলার বাদী নাহিদা আক্তার জানান, প্রভাবশালী ভণ্ড পীর ও দয়াল নামধারী নুরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করা না হলে মিঠুর মত একই পরিণতি হবে বলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। তারা মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তরসহ মিঠুকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে শনিবার বিকালে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, অপহৃতকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কামাল উদ্দিন/এসএস/আরআইপি
Advertisement