মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) এ পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৩০ লাখেরও বেশি। মারা গেছেন আট লাখ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও দুই লাখ ৬৭ হাজার। মারা গেছে ছয় হাজারের বেশি।
Advertisement
বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে মহামারি করোনাভাইরাস। এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন। তাই মানবজাতিকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে করোনার বেশকিছু সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হয়েছে।
এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেইয়েসুস আশা করছেন, আগামী দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারে এই করোনা মহামারি।
Advertisement
শুক্রবার হু-র সদর দফতর জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লুর উদাহরণ টেনে সাংবাদিকদের বলেন, স্প্যানিশ ফ্লু মোকাবিলা করতে দুই বছর সময় লেগে গিয়েছিল। তবে বর্তমানে প্রযুক্তি যে পরিমাণ উৎকর্ষ সাধন করেছে তাতে আশা করা যায়, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই ভাইরাসকে থামিয়ে দিতে সক্ষম হবে বিশ্ব। এজন্য জাতীয় ঐক্য ও বৈশ্বিক সংহতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. আধানম।
আধুনিক যুগের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লুতে মারা যায় অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহতের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি)। আর আক্রান্ত হয় ৫০ কোটিরও বেশি।
১৯১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া এই ফ্লু তিন ধাক্কায় (ওয়েভ) বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় চালায়। প্রথমে এ রোগ যুক্তরাষ্ট্রে ধরা পড়লেও পরবর্তীতে তা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপসহ পুরো বিশ্বে।
সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা
Advertisement
এসআর