কক্সবাজারের রামুতে ইউনিক পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
Advertisement
গাড়ির নিচে চাপা পড়ে থাকা আরও যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলছিল।
নিহতদের মধ্যে জেসমিন আকতার (৩৫) নামে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি চকরিয়ার মোহাম্মদ আবদুল্লাহর স্ত্রী।
আহতদের মধ্যে কক্সবাজারের বাংলাবাজার এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রোহিত (৯), খরুলিয়ার জিশু শর্মার ছেলেন ইশা শর্মা (৫), সাতকানিয়ার মোহাম্মদ ইউনুসের স্ত্রী শেলী (২৬), ছেলে সাকিব (৮), মেয়ে হ্যাপি (৫), কক্সবাজারের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে রাশেদ মিয়া (৪৫), চট্টগ্রামের রবিন্দ্র দাশের ছেলে বাবুল দাশ (৭২) ও চন্দনাইশের বজলুর রহমানের ছেলে আরফাতকে (৪২) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আর রামুর জোয়ারিয়ানালার ইব্রাহিম খলিলের ছেলে ইউচুপ আলী (৫২), টেকনাফের মোহসেন আলীর ছেলে নুরুল হক (২৭), চকরিয়ার নাজিম উদ্দীনের ছেলে মুসলিম উদ্দিন (২২), বান্দরবানের বেনুমহল বড়ুয়ার ছেলে শান্তি কুমার বড়ুয়া ও চকরিয়ার সাজেদাকে (৫০) রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স বলেন, কক্সবাজার অভিমুখী ইউনিক পরিবহনের বাসটি চলন্ত অবস্থায় জোয়ারিয়ানালা বর্মাপাড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে চাপা পড়ে দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত নারীর নাম জানা গেলেও তাৎক্ষণিক অপর নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, এ ঘটনায় কয়েকজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মাঝেও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন। এতে যোগ দিয়েছে রামু হাইওয়ে পুলিশও। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতায় গাড়িটি তোলা সম্ভব হয়নি। দুটি মরদেহ ও বাসটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হচ্ছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয় হচ্ছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/এমএস
Advertisement