‘অধিকাংশ স্প্লিন্টারই বের করা হয়েছে। ক্ষতগুলোও সেরে গেছে। কিন্তু যে কটি স্প্লিন্টার শরীরে রয়ে গেছে, তা মুভ (নড়াচড়া) করলেই প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ব্যথায় কুঁকড়ে যাই।’
Advertisement
বলছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু। ভয়াল ২১ আগস্টের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাগো নিউজের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই দিনের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে আমু বলেন, ‘সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশের আয়োজন করা হয় বঙ্গবন্ধু এভিউনিয়ে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য শেষ করতেই গ্রেনেড এসে ট্রাকের ডালায় আঘাত করে। আমরা ট্রাকের ওপরে যারা ছিলাম, তারা নেত্রীকে ঘিরে মানবঢাল তৈরি করে ফেলি। নেত্রীসহ প্রাণে বেঁচে যাই। কিন্তু ঘাতকদের প্রায় নির্ভুল নকশায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মীকে হারাই। অসংখ্য মানুষ আহত হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হই আমি নিজেও৷’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমু ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, ‘ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গ্রেনেডগুলো নিক্ষেপ করা হয়। আর সবকটি গ্রেনেডই ছোঁড়া হয় শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে। আল্লাহর অশেষ রহমতে নেত্রী বেঁচে যান। এরপর তার (শেখ হাসিনা) গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। হামলার পরক্ষণেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। তার মানে হামলাকারীরা যাতে নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হয়। সরকার-প্রশাসন এ ঘটনায় সম্পৃক্ত না থাকলে এমন নিখুঁত হামলা হতে পারে না। আমরা বারবার এই অভিযোগ করে আসছিলাম। অবশেষে আদালতে আমাদের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে।’
Advertisement
নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মন এবং শরীর দুটোর ওপরই আঘাত পেয়েছি সেদিন। এখনও ট্রমায় ভুগী। বেঁচে আছি, শুকরিয়া। গ্রেনেডের অধিকাংশ স্প্লিন্টার শরীর থেকে বের করা হয়েছে। যেগুলো আছে, তা ডাক্তারের পরামর্শেই বের করা হচ্ছে না। বের করতে গেলে শরীরের বড় ক্ষতি হতে পারে। তবে স্প্লিন্টারগুলো মুভ (নড়াচড়া) করলে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ব্যথায় কুঁকড়ে যাই।’
এএসএস/বিএ