স্বাস্থ্য

কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন জরুরি

>> বাংলাদেশের প্রশংসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের বিশেষ দূত>> পলিটিক্যাল লিডার নয়, দায়িত্ব দিতে হবে প্র্যাকটিশনারদের হাতে

Advertisement

‘কোভিড-১৯ এর ইতিবাচক দিক হলো, এটি বিশ্বব্যাপী মানুষকে সংঘবদ্ধভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে এবং সমভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা শিখিয়েছে। মহামারির কঠিন এই সামাজিক পরিস্থিতিতে যেভাবে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালকের বিশেষ দূত ডা. ডেভিড নাবারো।

একই সঙ্গে তিনি কোভিড-১৯ এর প্রভাব কমিয়ে আনতে বিশ্বব্যাপী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি চমৎকার দেশ এবং এ দেশের মানুষ অত্যন্ত দক্ষ। বিশেষ করে দেশটির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কোভিড-১৯ এর কঠিন সামাজিক পরিস্থিতিতে যেভাবে দেশটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেটি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।’

Advertisement

এমিনেন্স অ্যাসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ও বাংলাদেশ আরবান হেলথ নেটওয়ার্কের যৌথ আয়োজনে দ্বিতীয় আরবান হেলথ পলিসি ডায়ালগ ওয়েবিনারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ওয়েবিনারটি বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের পলিসি ডায়ালগ ওয়েবিনারের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, ‘আরবান হেলথ, মাল্টি স্টেক-হোল্ডার পার্টনারশীপ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এবং কোভিড-১৯’।

ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন এমিনেন্স অ্যাসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভলাপমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য গবেষক ডা. শামীম হায়দার তালুকদার। ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় ভবিষ্যতের নগর স্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নীতি নির্ধারকদের জন্য প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ উঠে আসে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ দূত ডা. ডেভিড নাবারো বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্বব্যাপী যে ডাটাগুলো পাচ্ছি তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, কোভিড-১৯ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের আর্থসামাজিক জীবন, স্বাস্থ্য-পুষ্টি ও দৈনন্দিন ইনকামের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে। তবে কোভিড-১৯ এর ইতিবাচক দিকগুলো হচ্ছে, এটি বিশ্বব্যাপী মানুষকে সংঘবদ্ধভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে এবং সমভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা শিখিয়েছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আমাদের বিশ্বব্যাপী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে। শুধুমাত্র পলিটিক্যাল লিডারদের ওপর নির্ভর না করে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের দায়িত্ব দিতে হবে প্র্যাকটিশনারদের হাতে, যাতে তারা কমিউনিটি লেভেলে মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে পারে।’

জনস্বাস্থ্য গবেষক ডা. শামিম তালুকদার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতিনির্ধারকদের কাছে বিজ্ঞানসম্মত তথ্য পৌঁছে দিতে চাই। এ লক্ষ্যে সিভিল সোসাইটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা একটি রিস্ক কমিউনিকেশন প্ল্যান এবং ‘ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার রূপরেখা’ তৈরি করে বাংলাদেশ সরকার ও নীতিনির্ধারকদের দিতে চাই। আমরা আশা রাখি, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গণমানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে আবারও পুনর্গঠিত হবে।’

ওয়েবিনারটি দেখতে চাইলে ক্লিক করুন

এমএআর/বিএ