উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন তার বোন কিম ইয়ো জংয়ের ওপর আরও বেশি দায়িত্ব দিয়েছেন। শুধু বোনের ওপরই নয়, নিজের বেশ কয়েকজন সহযোগীর ওপরও কাজের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন কিম।
Advertisement
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গুপ্তচর সংস্থা জানিয়েছে, নিজের ওপর চাপ কমাতে বোন এবং অন্যান্য সহযোগিদের ওপর আরও বেশি দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছেন কিম।
তবে কিম জং উন এখনও সবকিছুর প্রধান হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন। ওই সংস্থাটি বলছে, নিজের কাজের চাপ কমিয়ে কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের দায়িত্ব অন্যদের ওপর ন্যস্ত করেছেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব এখনও কিমের কাঁধেই। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সবকিছুর সিদ্ধান্ত এখনও তার অধীনেই।
Advertisement
যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা অতীতে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সংস্থাটি উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে নতুন তথ্য জানাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, কিম জং উন এখনও দেশটির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তবে ইতোমধ্যেই তিনি তার ছোট বোনের ওপর বেশ কিছু দায়িত্ব চাপিয়েছেন।
এখনও যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্যান্য বিষয়ে পিয়ংইয়ংয়ের যেসব নীতিমালা তার সব দায়-দায়িত্ব কিমের। এছাড়া এখনও পর্যন্ত কিম তার পরবর্তী উত্তরাধিকারী হিসেবে কাউকে বাছাই করেননি।
অন্যদের ওপর কিছু দায়িত্ব বাড়িয়ে কিম হয়তো কিছুটা চাপ কমাতে চাইছেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দাদের সঙ্গে একমত নন বিশেষজ্ঞরা। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, বিষয়টি হয়তো ভিন্ন।
Advertisement
তারা বলছেন, চলতি মাসে উত্তর কোরিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেখা যায়নি কিমের বোনকে। তাই কিম তার বোনকে ক্ষমতার দিক থেকে শক্তিশালী করতে চাইছেন এমনটা হয়তো নাও হতে পারে।
তবে কিমের এই বোনের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় কিমের সঙ্গে ছিলেন কিম ইয়ো জং।
১৯৮৭ সালে জন্ম কিম ইয়ো জংয়ের। তিনি তার ভাইয়ের চেয়ে মাত্র চার বছরের ছোট। তারা দু'জনে একসঙ্গেই সুইজারল্যান্ডে পড়াশুনা করেছেন।
তবে ২০১৮ সালে প্রথম বিশ্বের নজর কাড়েন কিম ইয়ো জং। তিনি কিম পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় সফর করেন। সেবছর শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে অংশ নিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে ভাইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে কিম ইয়ো জংকে। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জ্যাং ইন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও কিমের সঙ্গে ছিলেন তিনি।
টিটিএন/এমকেএইচ