প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সরকার। কিন্তু আজ পর্যন্ত ব্যাংকটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বড় কোনো ব্যাংকে ‘নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট’ খুলতে পারেনি। তাই এ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন না প্রবাসীরা। তবে রেসিট্যান্স আনতে কাজ করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে ব্যাংকটির পরিশোধতি মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
Advertisement
১৬ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহ্তাব জাবিন স্বাক্ষরিত গেজেটে বলা হয়, সরকারের অনুমোদনক্রমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন, ২০১০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হলো।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছে, মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হওয়ায় এ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আনার প্রক্রিয়াটি একধাপ এগিয়ে গেল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। ব্যাংকটির কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলোর প্রথমেই রয়েছে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান। তারপরও আজ পর্যন্ত প্রবাসীরা এ ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন না।
Advertisement
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকটির অভিলক্ষ্য হচ্ছে- প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যয় সাশ্রয়ী পন্থায় নিরাপদে ও দ্রুততার সঙ্গে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রেরণে সহায়তা প্রদান এবং বিদেশগামী ও প্রবাস ফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে স্বল্প সময়ে ‘অভিবাসন ঋণ’ ও ‘পুনর্বাসন ঋণ’ প্রদান।
ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৪০০ বিদেশগামী কর্মীকে অভিবাসন ঋণ দিয়েছে। ব্যাংকটি মাত্র তিনদিনে অভিবাসন ঋণ মঞ্জুর করে। এছাড়া বিদেশ ফেরত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মীকে পুনর্বাসন ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে সহায়তা করেছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দেশের অভ্যন্তরে ৬৩টি শাখার মাধ্যমে এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সব জেলায় ব্যাংকের শাখা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক পাঁচ হাজার ৫৯২ জনকে ৭১ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাক ঋণ দেয়। একই অর্থবছর ৮২ শতাংশ ঋণ আদায় হয়। আদায়ের পরিমাণ ৬৮ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার ১০৬ টাকা।
Advertisement
এমইউএইচ/এনএফ/পিআর