মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আট লাখ ছুঁইছুঁই। আক্রান্ত দুই কোটিরও বেশি। করোনা রুখতে বর্তমানে ৩০টি ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা চলছে। গবেষকদের মতে, করোনা প্রতিনিয়ত চরিত্র বদলালেও এখনো পর্যন্ত শক্তিশালীই রয়ে গেছে। অন্তত গবেষকদের নতুন গবেষণা তা-ই বলছে।
Advertisement
এতদিন জানা ছিল, নভেল করোনাভাইরাসের গায়ের স্পাইক বা কাঁটাগুলোই সংক্রমণের মূল। সংক্রমিত হওয়ার পরে মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে, তা প্রথমেই শেষ করে স্পাইক প্রোটিনকে। কিন্তু জার্মানির একদল বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, অ্যান্টিবডিকে রুখতে ‘বর্মবস্ত্র’ পরে রয়েছে ভাইরাসও। ফলে স্পাইক প্রোটিনের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না ওই অ্যান্টিবডি। ‘সায়েন্স’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।
আল্ট্রা-হাই রেজুলেশন মাইক্রোস্কোপি পদ্ধতির সাহায্যে পরীক্ষা করে জার্মানির ‘ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট অব বায়োফিজিক্স’-এর গবেষকেরা দাবি করছেন, ভাইরাসটির উপরিভাগে স্পাইক প্রোটিনকে ঢেকে রেখেছে শর্করা জাতীয় অণু ‘গ্লাইক্যান’। কাঁটার মতো দেখতে স্পাইক প্রোটিনটির মাথার অংশ গোলাকার। নিচের অংশ একটি লম্বা স্ট্যান্ড। গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, এই স্ট্যান্ডটি বেশ নমনীয়। ব্যাপকভাবে নড়াচড়া করতে পারে। আর সংক্রমিত কোষটিকে স্ক্যান করে ফেলে সে। এজন্য গায়ে চাপিয়ে ফেলে গ্লাইক্যান-বর্ম।
তবে নতুন গবেষণাপত্রটি হতাশার কথা বললেও ভাইরাসের এই চরিত্রটি প্রতিষেধক তৈরিতে সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
Advertisement
বর্তমানে প্রায় ৩০টি ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তবে, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে প্রথম সারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। পাশাপাশি, ৬৫-র ঊর্ধ্বে যাদের বয়স, তারা অগ্রাধিকার পাবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এখন পর্যন্ত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনই সবচেয়ে এগিয়ে। নিরাপত্তার বিভিন্ন মাত্রায় ইতোমধ্যেই এই ভ্যাকসিন তার সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছে। ফলে আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
এসআর/পিআর
Advertisement