জাতীয়

বাংলাদেশের সম্পর্ক ‘খয়রাতি’ না, তা ভারত বুঝতে পারছে

চীনে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের অনুমতি নিয়ে ভারতের মিডিয়া ‘খয়রাতি’ বলে যে সমালোচনা করেছিল, তা যে বাংলাদেশ ভালোভাবে নেয়নি এটি এখন ভারত বুঝতে পারছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বড় বড় দেশের ভালো সম্পর্ক হচ্ছে এবং বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে, এটি ভারতেরও চিন্তার বিষয় এখন।

Advertisement

বলছিলেন, বিশিষ্ট কূটনীতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার ঝটিকা সফর প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ড. ইমতিয়াজ বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের মধ্যে এমন কোনো বড় বিপর্যয় ঘটেনি যে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলার এই সফরকে আলাদা করে মূল্যায়ন করতে হবে। তবে হ্যাঁ, সম্প্রতি চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে সে দেশটির গণমাধ্যম অযাচিতভাবে সমালোচনা করে। এটি বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। রাজনীতিবিদারও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আবার প্রায় ছয় মাস হয় দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সফরও ছিল না। এসব কারণে ভারত মনে করেছে, বাংলাদেশে পররাষ্ট্র সচিবের সফরটি প্রাসঙ্গিক। বলতে পারেন, ভারতের তাগিদই গুরুত্ব পেয়েছে।’

এই বিশ্লেষক বলেন, ‘এ সফরকে অতিবড় করে দেখার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে চিঠি নিয়ে এসেছেন, সম্পর্ক উন্নয়ন এবং নিজেদের মধ্যকার সমস্যা সমাধানের জন্য। এভাবে দেখাই স্বাভাবিক। মিডিয়া বড় করে দেখছে। আসলে তেমন কিছু না। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে এলে ভিন্ন কথা ছিল।

Advertisement

অনেকেই বলছেন, ভারতের হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পাননি। এটি ভুল মনে করি। করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন না এটি স্বাভাবিক। অথচ, এটিকে অন্যভাবে সামনে আনা হলো।’

ভারতের সঙ্গে এখন আলোচনায় সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেয়া দরকার সীমান্তহত্যা বন্ধ এবং তিস্তার পানিবণ্টন। এই দুটি ইস্যু ভারত কীভাবে সমাধান করতে চায় তার ওপরও আগামীর সম্পর্কের মাত্রা নির্ভর করবে।’ যোগ করেন ইমতিয়াজ আহমেদ।

এএসএস/বিএ

Advertisement