নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আরটি পিসিআর ল্যাবে করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য উম্মোচনে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। করোনার টিকা উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে নোবিপ্রবি এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে ১০০টি করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য উম্মোচনে কার্যক্রম চলছে।
Advertisement
বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নোবিপ্রবি এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই কার্যক্রমে সার্বিকভাবে যুক্ত আছেন নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ, আরটি পিসিআর ল্যাবের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহম্মদ বাহাদুর, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাকসুদ হোসেন ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেল্থ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন প্রফেসর হাসান মাহমুদ রেজা।
ইফতেখার হোসাইন জানান, নোবিপ্রবি এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ৩০টি পজিটিভ নমুনার আরএনএ এক্সট্রাকশন করে সিডিএনএ তৈরি করা হয়। এরপর তা নোবিপ্রবি থেকে পাঠানো হয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। আর এতেই সাফল্যের দেখা পান গবেষকরা। ইতোমধ্যে ৮টি করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য সম্পন্ন হয়েছে। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সম্মিলিত গবেষণা কার্যক্রম করোনার টিকা তৈরিতে সহায়ক হবে বলেন জানিয়েছেন গবেষকরা।
Advertisement
উল্লেখ্য, নোবিপ্রবির ল্যাবে চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় করোনাভাইরাসের উৎস, জিনগত পরিবর্তন, জীবন রহস্য উম্মোচন এবং পরবর্তীতে এই ভাইরাসের টিকা উৎপাদন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গত ১১ মে থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণায়ের অনুমোদনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনুদানে নোবিপ্রবির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে আরটি পিসিআর মেশিনে করোনা শনাক্তকরণ কার্যক্রম চালু করা হয়।
ল্যাবে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের ১০টি উপজেলার মানুষের নমুনা শনাক্তকরণ সম্পন্ন করা হয়। ইতোমধ্যে ল্যাবে ১৬ হাজার ৮৭৬টি নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। যার মধ্যে তিন হাজার ৮১৫টি নমুনা করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। নোবিপ্রবির ল্যাবের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য প্রেরিত নমুনা পরপর দুইবার আইইডিসিআর কর্তৃক শতভাগ সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
মিজানুর রহমান/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement