রান্নাঘরের সিঙ্ক পরিষ্কার রাখা জরুরি। কারণ এখানেই সমস্ত থালা-বাসন পরিষ্কার করা হয়। তবে বেশিরভাগ বাড়িতেই ঘটে এর উল্টো, তাদের সবচেয়ে অপরিষ্কার জায়গাটিই হলো সিঙ্ক। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলেই এমনটা হয়। অনেকে আবার একধাপ এগিয়ে, এঁটো কাঁটা-ময়লা সবই সিঙ্কে ফেলেন। তাতে করে সিঙ্কের পাইপ ব্লক হয়ে পানি আটকে যায়। আর একটুতেই সিঙ্ক থেকে উপচে পড়ে পানি। তবে কিছু টিপস মেনে চললে এই সমস্যায় পড়তে হবে না।
Advertisement
সিঙ্কে কখনোই কোনো ধরনের ময়লা ফেলবেন না। যখনই থালা-বাসন ধুতে যাবেন, প্রথমে সমস্ত ময়লা নির্দিষ্ট ঝুড়িতে ফেলে তারপর পরিষ্কার করবেন। এতে করে ময়লা জমে পানি আটকে যাবে না। বাজে গন্ধও হবে না।
লেবু অনেক কাজে লাগে। আপনার সিঙ্ক পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও কাজে লাগে এটি। প্রতিদিন বাসন-পত্র ধোয়ার শেষে এক টুকরো লেবু নিয়ে সিঙ্কে ভালো করে ঘষে নিন। এরপর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এতে সিঙ্কে দুর্গন্ধ হবে না, জংও ধরবে না।
টুথব্রাশ পুরোনো হয়ে গেলে ফেলে দেন? এখন থেকে আর ফেলবেন না। বরং সেগুলো লাগান সিঙ্ক পরিষ্কারের কাজে। সপ্তাহে অন্তত একদিন গরম পানি ও ডিটারজেন্ট পাউডারের সাহায্যে পরিষ্কার করুন সিঙ্ক। টুথ ব্রাশ দিয়ে ভালো করে চারপাশ ঘষুন। এতে সিঙ্ক কখনোই তেল চিটচিটে হবে না।
Advertisement
পেঁয়াজের খোসা, চুল, চা পাতা, গুঁড়ো মশলা, ময়দা, পেঁয়াজের খোসা এগুলো যেন সিঙ্কে না ফেলা হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ এগুলো জমে সহজেই সিঙ্ক আটকে যেতে পারে।
গরম পানি বা ভাতের মাড় সরাসরি সিঙ্কে ঢালেন? এমনটা করবেন না একেবারেই। কারণ গরম পানি সিংকে ঢাললে পাইপ ফেটে যেতে পারে।
সিঙ্কে তেল-চর্বি জমে আটকে যাওয়ার ভয় থাকলে সপ্তাহে একবার বেকিং সোডা সিঙ্কে ও পাইপের ভেতরে দিন। এরপর এককাপ সাদা ভিনেগার ঢেলে দিন। এভাবে সারা রাত রাখুন। সকালে মাঝারি কুসুম গরম পানি ঢেলে দিন। এতে সিঙ্কের লাইন কখনো আটকে যাবে না।
ফল-সবজি ইত্যাদি ধোয়ার জন্য সিঙ্ক ব্যবহার করবেন না। এতে লেগে থাকা মাটি কিংবা ময়লা সিঙ্কে জমে যেতে পারে। ফল-সবজি ধোয়ার আগে গায়ে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে নিন।
Advertisement
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের চারপাশ পরিষ্কার রাখা উচিত। রান্নাঘর কিংবা সিঙ্ক সেই চারপাশেরই অংশ। খেয়াল রাখবেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যেন বসবাস করতে না হয়। কারণ তাতে অসুখের ভয় অনেকটাই বেড়ে যায়।
এইচএন/এএ/এমকেএইচ