সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষা নীতির বাস্তবায়নসহ বেশকিছু শর্তে বর্ধিত ভাড়ায় গণপরিবহন চালু করেছিল সরকার। তবে কিছুদিন না যেতেই আসতে থাকে নানা অভিযোগ। গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অথচ ভাড়া নেয়া হচ্ছে বর্ধিত হারেই।
Advertisement
এসব অভিযোগের মুখে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, বুধবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিআরটিএর উপ-পরিচালক (ইনফোর্সমেন্ট) আব্দুর রাজ্জাক বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্ধিত ভাড়া নির্ধারণের পর নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। অভিযোগও বিস্তর। এসব বিষয় নিয়েই মূলত আজকের বৈঠক। বৈঠক শেষে পরবর্তী করণীয় বা নির্দেশনা কী তা জানা যাবে।’
Advertisement
গত ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয় সরকার। ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধির বেশ ভালো প্রয়োগেই চলছিল গণপরিবহন। তবে ঈদযাত্রায় ও ঈদ-পরবর্তী সময় থেকে স্বাস্থ্যবিধির ধার ধারছে না গণপরিবহন। অনিয়ম করে যাত্রী বেশি নেয়া হচ্ছে। আদায় করা হচ্ছে বর্ধিত ভাড়াও।
এদিকে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ চেয়ারম্যানের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১২ আগস্ট) অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাসিম উদ্দিন এই নোটিশ পাঠান।
গতকাল এক মানববন্ধনে ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন বলেন, ‘করোনার মধ্যে যখন মানুষের পেটে ভাত নেই, পকেটে টাকা নেই, তখন খোড়া অজুহাতে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বর্ধিত করা হয়েছে। এখনো চলছে। করোনার আপডেট দেয়াও সরকার বন্ধ করেছে। তাহলে ভাড়া কেন বর্ধিতই থাকবে। এই ভাড়া আর কাল (আজ) থেকে কেউ দেবেন না।’
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে প্রত্যেকটি গণপরিবহনে উঠে পরীক্ষা করা হবে। যদি কেউ বর্ধিত ভাড়া নেয়া হয়, তাহলে সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে যা করা দরকার তা করতে তারা বাধ্য হবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।
Advertisement
জেইউ/এসআর/পিআর