‘ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো’ হিসেবেই বহুল পরিচিত। এছাড়াও তার আরো একটি নাম রয়েছে, সেটা হচ্ছে মি. স্টেঞ্চ। হ্যাঁ, জনি ডেপের কথাই বলছি। রুপালি পর্দার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। বর্তমান সময়ের বহুমুখী প্রতিভাধর অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম।
Advertisement
উদ্ভট সব চরিত্রে অদ্ভুত সুন্দর অভিনয় করে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি দর্শকদের মনে। তবে কখনোই গোছালো ছিল না জনির জীবন। প্রতিনিয়ত মা-বাবার ঝগড়া দেখতে দেখতে অসহ্য হয়ে মাত্র বারো বছর বয়সেই তিনি সিগারেট আর বিভিন্ন ড্রাগ সেবন করতে শুরু করেন।
সারাদিন নিজেদের গ্যারেজের দরজায় তালা মেরে সেখানে পড়ে থাকতেন এবং গিটার বাজাতেন। ষোল বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে দিয়ে তিনি ‘দ্য কিডস’ ব্যান্ডে যোগ দেন। এরপর ঘটনাক্রমে হয়ে উঠেন বিশ্বখ্যাত অভিনেতা।
তবে প্রেমিক হিসেবেও তার রয়েছে অনেক সুনাম। ডাকসাইটে সব সুন্দরীদের সঙ্গ তিনি পেয়েছেন। অবশ্য এখানেও তাকে সংগ্রামী বলা চলে! বেশ চরাই উৎরাই রয়েছে তার প্রেম জীবনে। জেনে নেয়া যাক তার সেই রোমান্টিক জীবনের কিছু গল্প।
Advertisement
লরি অ্যান্নে এলিসনজনি ডেপের প্রথম জীবনে তিনজন প্রেমিকার কথা খুব জোরেসোরে উচ্চারিত হয়। এই তিনজন জনি ডেপের জীবনকে বর্ণিল করেছেন, নানা বাঁকে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথমজন হলেন বোন লরি এলিসন। ১৯৮৩ সালে বিশ বছর বয়সে তিনি পঁচিশ বছর বয়সী লরি অ্যান্নে এলিসনকে বিয়ে করেন। তবে বেশিদিন টেকে নি তার এই প্রথম বৈবাহিক জীবন। ১৯৮৫ সালেই আলাদ থাকার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
জেনিফার গ্রেলরি এলিসনের সঙ্গে বিবাহচ্ছেদ হওয়ার কিছুদিন পরই জেনিফার গ্রের সাথে তার বাগদান হয়। তবে সেটা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। ১৯৮৯ সালেই জেনিফারের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায় জনির।
শেরলিন ফেন‘টুইন পিকস’খ্যাত এই অভিনেত্রীর সঙ্গেও ছিল জনির প্রেম। জনির প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে ফেন একবার মন্তব্য করেছিলেন, ‘জনি আমার কাছে কখনোই একজন তারকা না, তিনি সবসময়ই আমার জন্য একজন জনিই। তিনিই আমার প্রথম প্রেম।’ তবে সেই প্রেমের মোহ খুব বেশিদিন থাকেনি। ফেন নিজেই কিছুদিন পর সরে যান জনির কাছে থেকে। মাত্র ২ বছর টিকেছিলো তাদের প্রেম।
এছাড়াও হলি রবিনসন পিটি, ট্রেসি লর্ডস, টেলি চ্যানেল, জুলিয়েট লুইস, উইনোনা রাইডার, তাজানা প্যাটিটজ, অ্যালেন বার্কিন, কেট মসের সঙ্গে প্রেম করেছেন। তার নাম জড়িয়েছিলো মডেল নাওমি ক্যাম্পবেলের প্রেমিক হিসেবেও।
Advertisement
সুন্দরী অভিনেত্রী-গায়িকা ভ্যানিসা প্যারডিসের সঙ্গেও প্রেমে জড়িছেন জনি ডেপ। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে লিলি রোজ ডেপ এবং তৃতীয় জ্যাক জন ক্রিস্টোফার ডেপ নামে।
ভ্যানিসার সাথে বিচ্ছেদের পর ২০১৫ সালে জনি প্রেম করে বিয়ে করেন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডকে। অ্যাম্বার হার্ডের সাথে তার পরিচয় হয় ‘দ্য রাম ডায়েরি’র সেটে। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে এই সুন্দরী তারকার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় জনির। বর্তমানে আদালতে তাদের বিচ্ছেদের মামলা চলমান।
এক জীবনে এত নারীর মন জয় করেও আজ একাকীত্বে দিন কাটে ৫৭ বছর বয়সী জনি ডেপের। নিঃসঙ্গ জীবন নিয়ে তিনি হয়তো ভাবেন, আর যাই হোক নারীকে আগলে রাখতে পারা শিখতে পারলেন না তিনি। যা স্বভাবের প্রেমিক তিনি, হয়তো এর বিপরীত ভাবনাই আসে তার মনে। নারীরা ক্ষ্যাপাটে রোমান্টিক জনি ডেপকে আগলে রাখতে জানলো না!
এলএ/এমকেএইচ