প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ হলে স্থানীয় বাসিন্দা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৩ লাখ মানুষ জীবিকা হারাবে। হুমকির সম্মুখীন হবে পর্যটনখাতে বিনিয়োগকারীদের কয়েক হাজার কোটি টাকা। তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)।
Advertisement
সংস্থাটি বলছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিতকরণ বা রাতযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে পর্যটন শিল্পে নিয়োজিত ৭-৮টি জাহাজ, কয়েকশ বাস-মিনিবাস, শতাধিক মাইক্রোবাস, কয়েকশ ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান, চার শতাধিক টুরিস্ট গাইড এবং দ্বীপের শতাধিক হোটেল-কটেজ ও অর্ধশতাধিক রেস্তোরাঁয় কর্মরতদের জীবন জীবিকা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত ৬ আগস্ট জুম মিটিংয়ে সিদ্ধান্তে প্রতিদিন মাত্র এক হাজার ২৫০ পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপ দিবাকালীন ভ্রমণ করতে পারবে কিন্তু রাতযাপন করতে পারবে না। এমন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং সবিশেষ উপস্থাপনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কক্সবাজারের পর্যটন ভিত্তিক এ সংগঠন।
সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা মুফিজুর রহমান মফিজ বলেন, গত ৬ আগস্ট জুম মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় প্রতিদিন মাত্র এক হাজার ২৫০ পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপ দিবাকালীন ভ্রমণ করতে পারবে, কিন্তু রাতযাপন করতে পারবে না। সংবাদটি সেন্টমার্টিন দ্বীপনির্ভর পর্যটন ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে উদ্বিগ্ন ও বিস্মিত করেছে। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ৭-৮টি জাহাজের মাধ্যমে ৪-৫ হাজার পর্যটক দ্বীপটিতে ভ্রমণ করেন এবং এর মধ্য থেকে ৩০ শতাংশ পর্যটক রাতযাপন করেন।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে টুয়াক সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তাহলে আমরা শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আইনের দ্বারস্থ হবো। আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমরা পর্যটনকে প্রমোট করতে কাজ করছি। আমার ভূখণ্ডে আমি ভিজিটে যাব। এতে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে টুয়াকের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এমএ হাসিব বাদল, উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম, সৈয়দুল হক কোম্পানি, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার কামাল, যুগ্ম সম্পাদক আল-আমীন বিশ্বাস, মুনীবুর রহমান টিটু, এসএ কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/পিআর
Advertisement