জাতীয়

আদেশের কপি পেলেই অধিবেশন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ছবি : সংসদ সচিব

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেছেন, অধিবেশন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। আদালতের রায়ের কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। কপি হাতে পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রায়ের ফলে আমাদের জন্য ভালো হলো। একটা বাধ্যবাধ্যকতার মধ্যে পড়লে আমরা এটা করে ফেলব।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ জাতীয় সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানোর নির্দেশ দেন। ওই রিটের অন্যতম বিবাদী করা হয় সংসদ সচিবকে।

সাংবাদিকদের সংসদ সচিব বলেন, সংসদ সচিবালয়ের সব কক্ষেই জাতির পিতার ছবি টাঙানো রয়েছে। সংসদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সব সময় আলোচনা হয়। তিনি সব সময় সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু তার ছবি সংসদ কক্ষে নেই। এটা তো আগে থেকেই এভাবে চলে আসছে। তবে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে তা নয়, হয়তো কারও নজরে আসেনি।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে স্পিকারের চেয়ারের পেছনের দেয়ালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।

অমিত দাসগুপ্ত ও সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি সংসদের অধিবেশন কক্ষের স্পিকারের চেয়ারের পেছনের দেয়ালের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশ পালন করে আগামী এক মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস আদালতের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের আরও জানান, আদালত বলেন, এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়। সংসদ সচিবালয়ের সচিব এই আদেশ বাস্তবায়ন করবেন।

এর আগে গত ১২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন। গত ৩০ জুলাই জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে একটি আবেদন দেন সুবীর নন্দী দাস।

Advertisement

এইচএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ