এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)। মঙ্গলবার তৃতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযানের অষ্টম দিনে ১৩ হাজার ২৮০টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৭০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৭৯০টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময় ১২টি মামলায় মোট ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
চলতি মাসে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৫ হাজার ১৫১টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৫৬৩টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৬১ হাজার ৮১৩টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মোট ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ৯৩০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮৭১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২টি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ৩ হাজার ৩১৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩০০টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১টি মামলায় মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৩০১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৮৬০টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭টি মামলায় ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫২৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯৮৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ২২৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৭৫১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ২৪২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১১৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
Advertisement
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৭৮৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬১০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৭৮২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ৪৭৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৪৫৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ২৭২টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭০২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিককে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
এএস/এমএসএইচ/পিআর