‘আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮’-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন অধ্যাপক গোলাম মুরশিদ ও ইমদাদুল হক মিলন। এছাড়া ‘সাহিত্যরত্ন সম্মাননা ২০২০’ পাচ্ছেন রামেন্দু মজুমদার। সোমবার (১৭ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
এতে বলা হয়েছে, আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮-এর জন্য সেরা লেখক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গবেষক ও লেখক গোলাম মুরশিদ এবং কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। গোলাম মুরশিদ তার ‘বিদ্রোহী রণক্লান্ত নজরুল-জীবনী’ এবং ইমদাদুল হক মিলন তার ‘মায়ানগর’ উপন্যাসের জন্য এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
সাহিত্যরত্ন নির্বাচিত হয়েছেন রামেন্দু মজুমদার। অনন্য নেতৃত্বগুণে গুণান্বিত এই অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব তার বর্ণাঢ্য জীবনে একদিকে বিশ্বময় বাংলাদেশকে তুলে ধরা একজন অগ্রগামী নাট্যজন, অন্যদিকে একজন সংবাদ পাঠক, বাচিকশিল্পী ও লেখক হিসেবে শিল্প-সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।
আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কারে সবসময় বরেণ্য সাহিত্যিক ও সাহিত্য সমালোচকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচকমণ্ডলী বাছাই কমিটি ও বিচারকমণ্ডলী সেরা দুটি বই নির্বাচন করেন।
Advertisement
প্রতি বছরের মতো এবারও আনুষ্ঠানিক আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচিত লেখকদের ৫ লাখ টাকা (প্রতিটি বইয়ের জন্য), সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। ‘আইএফআইসি ব্যাংক সৃজনশীল সাহিত্যের সহযাত্রী’ স্লোগান নিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সমসাময়িক জীবিত লেখকদের সৃজনশীল সাহিত্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০১১ সাল থেকে সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে পুরস্কারটি সবার কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। এখন পর্যন্ত অর্থমূল্যে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাহিত্য পুরস্কার।
২০১৮ সাল থেকে ‘আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার’র পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য দেশের দুজন অগ্রজপ্রতিম সাহিত্যিককে ‘সাহিত্যরত্ন সম্মাননা’ প্রদান করা হয়েছে। এই সম্মাননার আর্থিক মূল্যমান রাখা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
প্রথম বছর কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক এবং দ্বিতীয় বছর জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০২০ সাল থেকে এ সম্মাননাটিকে সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতির ব্যাপক পরিসরে বিস্তৃত করে যেসব জীবন্ত কিংবদন্তি আজীবন অবদানের মাধ্যমে আমাদের দিশা দিয়ে চলেছেন, তাদের সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
এসআই/এসএইচএস/পিআর