আন্তর্জাতিক

ইতালিতে রাতে মাস্ক বাধ্যতামূলক

ইতালিতে রাতের বেলা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মনে করছে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব তদারকি করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সে কারণেই এই সময়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

Advertisement

একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নাইট ক্লাব ও অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইতালি সরকার বলছে, যেসব স্থান বন্ধ করার কথা বলা হচ্ছে সেখানে লোকজনকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়া হবে।

সম্প্রতি পুরো দেশে প্রায় ৫শ নতুন রোগী পাওয়া গেছে এবং চারজন নতুন করে মারা যাওয়ার পর মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে স্পেন, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি এবং ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, ইতালিতে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৫।

Advertisement

দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ৩৫ হাজার ৩৯৬ জন। ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ লাখ ৩ হাজার ৭৮৬ জন। অর্থাৎ দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সুস্থ। বর্তমানে সেখানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১৪ হাজার ৭৩৩। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৫৬ জন।

এদিকে, ইউরোপের দেশ স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে মাস্ক-বিরোধী বিক্ষোভে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে মাস্ক ব্যবহার এবং অন্যান্য কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

মাদ্রিদ সিটি সেন্টারের প্লাজা কোলনে লোকজনকে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তারা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে জড়ো হন।গত মে মাসে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। পরবর্তীতে দেশজুড়ে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়। সম্প্রতি স্প্যানিস সরকার দেশজুড়ে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এছাড়া জনসম্মুখে ধূমপানও নিষিদ্ধ করেছে স্পেন।

নতুন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের দু'দিন পরেই বিক্ষোভে নেমেছে সাধারণ মানুষ। নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার কারণেই জনসম্মুখে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এর বিপক্ষে মত দিয়েছে।

Advertisement

টিটিএন/পিআর