ড. আছমা বিনতে ইকবাল
Advertisement
উনিশশো পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট রাতেবঙ্গবন্ধুর অমূল্য প্রাণের বিসর্জনএকদল সশস্ত্র দুর্বৃত্তের হাতে।তার পরিবারের স্বজনরাওঅসংখ্য গুলির আঘাতে নিথর দেহে রক্তে রঞ্জিত মাটিতে।এখানেই ক্ষান্ত হয়নি নরপিশাচের দল,কালাে হাতের থাবায় বাকরুদ্ধ করলাে বাঙালি জাতিকেইনডেমনিটি বিলে মৃত্যুর বিচারে নিষেধাজ্ঞা এনে।আর্তচিৎকারে লুটিয়ে পড়াবঙ্গবন্ধুর নিথর দেহকে নিয়ে,ছিল না সেদিন কোনাে স্বজনের আহাজারি,ছিল না স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কিংবা অন্যত্রমানববন্ধন কিংবা দ্রোহের আগুনে স্লোগানে স্লোগানে।বিপ্লবী জনতার ঢল।বাঙালিরা সেদিন কাঁদতে পারেনি অঝােরে,জাতির পিতার অকাল প্রয়াণে।তাক করা বন্দুকের নলের গরম ধােঁয়ায়চোখের পানি যে চোখেই শুকায়,
গুমােট কান্না যে বুকের ভিতরে রক্তক্ষরণে ধায়।সুগন্ধি শাবানের ঘ্রাণে ধূসর ধবল মসৃণ কাপড়ে,কিংবা প্রার্থনার প্রাঙ্গণে শুভ কামনায়,অশ্রু দিয়ে লেখা গানেবঙ্গবন্ধুর হয়নি লােকালয় থেকে শেষ বিদায়।হায়নাদের ক্ষিপ্তবেগের বর্ষাঘাতেনিস্তব্ধ করেছিলা আবেগাপ্লুত ভালোবাসার গান।আগস্টের এই শােকবার্তাই স্বাধীন বাংলায়সূচনা করেছিল ট্রাজেডির মহা-উপাখ্যান।ট্রাজেডির এই মহা-উপাখ্যান মহা-মানবের মহিমান্বিত কর্মে,শােকের শক্তিতে গ্রন্থিত মৃত্যুঞ্জয়ী গানে প্রতিপ্রাণে।বঙ্গবন্ধু আছেন আমাদের চিন্তা-চেতনায়আছেন উপলব্ধিতে অনুভূতিতে, রক্তের শিরায় শিরায়,তিনি আছেন বাঙালিদের প্রতিটি উত্সবে,তিনি আছেন বাঙালিদের প্রকৃত আচরিতজীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গেআছেন তিনি লাল-সবুজের পতাকার মাঝেকীর্তিমান হয়ে।।
কবি: অধ্যাপক ও চেয়ারপার্সন, লােক-প্রশাসন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
Advertisement
এসইউ/জেআইএম