করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নিউজিল্যান্ডে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন এক ঘোষণায় নির্বাচন পেছানোর কথা জানিয়েছেন। দেশটির জাতীয় নির্বাচন প্রায় এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দেশটির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হবে ১৭ অক্টোবর। সোমবার নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন জেসিন্ডা আর্ডার্ন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দেশটির অন্যতম বড় একটি শহরে লকডাউন জারি করা হয়। জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, নির্বাচন পেছানোর এই সিদ্ধান্তের কারণে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব দল আগামী নয় সপ্তাহ নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সময় পেল। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট সময় হাতে পেল।
এর আগে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানান দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা জুডিথ কলিন্স। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
Advertisement
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। অপরদিকে নিউজিল্যান্ডে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। ফলে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। একই সঙ্গে টানা টানা তিন মাস কোনো সংক্রমণ ধরা না পড়ায় রীতিমত সবাইকে অবাক করে দিয়েছে জেসিন্ডা আর্ডার্নের দেশ।
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ডের এই সফলতা বিশ্বজুড়েই ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। সারাবিশ্বেই করোনার তাণ্ডব চললেও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৫০ লাখ জনগোষ্ঠীর এই দেশটি থেকে সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া হয়েছিল তিন মাস আগে। কিন্তু টানা ১০২ দিন সংক্রমণমুক্ত থাকার পর নতুন করে দেশটিতে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হয়েছে।
নতুন করে বেশ কয়েকজনের সংক্রমণ ধরা পড়ায় গত বুধবার থেকে অকল্যান্ডে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এদিকে, সোমবার নতুন করে নয়জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ফলে অকল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ৫৮।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৫৩১ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সুস্থ। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৭৮টি। অপরদিকে, পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম