আইন-আদালত

মামলা প্রত্যাহারে দুদকের চেয়ারম্যানসহ ৩ জনকে ফিরোজ রশীদের নোটিশ

হাইকোর্টের রায় ও আদেশ অবমাননার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদসহ তিনজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।

Advertisement

চেয়ারম্যান ছাড়াও আরও যে দুজনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তারা হলেন-দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক ও বর্তমানে দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. জুলফিকার আলী ও দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চার্জশিট প্রত্যাহার ও বাতিল করে মামলা পরিচালনার পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে নোটিশে।

এ সময়ের মধ্যে চার্জশিট প্রত্যাহার করা না হলে সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবেন বলেও নোটিশে জানিয়ে দিয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ।

Advertisement

রোববার (১৬ আগস্ট) ফিরোজ রশীদের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. কে রহমান নোটিশটি পাঠান।

এর আগে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে গত ৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় এক বিঘা সরকারি জমি জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, রাজধানীর ৯/এ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে এক বিঘা সরকারি জমিসহ বাড়িটির (প্লট নম্বর ১০, বাড়ি নম্বর ৬৫) ফিরোজ রশীদ জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক জুলফিকার আলী বাদী হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন।

ফিরোজ রশীদের পাঠানো নোটিশে বলা হয়, ‘দুদক (সংশোধন) আইন ২০১৬’ এর ধারা ৮ এর বিধান অনুযায়ী উক্ত মামলা তদন্তের এখতিয়ার দুদকের নেই। তা সত্ত্বেও দুদক মামলাটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি। এ ব্যাপারে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা ও মামলাটি তদন্তের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আদেশ চেয়ে ফিরোজ রশীদ ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

Advertisement

শুনানি শেষে আদালত ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর রুল জারি করে। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কে. এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করেন।

নোটিশে বলা হয়, হাইকোর্টের রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) হওয়ার বিষয় অবগত হওয়া সত্ত্বেও নোটিশ গ্রহীতারা ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের রায় ও আদেশের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করে একে অপরের যোগসাজশে ৯ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করেছেন, যা আদালত অবমাননার শামিল।

এ বিষয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ওই সম্পত্তি সরকারি নয়, এটা ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এ বিষয়ে মামলা করার কিংবা চার্জশিট দেয়া দুদকের এখতিয়ারে পড়ে না।’

এফএইচ/এসআর/জেআইএম