প্রথম ৬ ম্যাচের পাঁচটিতে হেরে বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডের টপ ডিভিশনে খেলার সম্ভাবনা শেষ বাংলাদেশের। রোববার শেষ দিনে ইন্দোনেশিয়া, তুর্কমেনিস্তান ও ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে কোন পজিশনে থেকে অনলাইন প্লাটফর্মের এই দাবা অলিম্পিয়াড শেষ করতে পারবে নিয়াজ-জিয়ারা।
Advertisement
১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন শীর্ষ পঞ্চাশের মধ্যে আছে। রোববার তিন ম্যাচের একটি জিতে এবং একটি ড্র করতে পারলে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০ এর মধ্যে চলে আসতে পারে। বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য এখন সেটাই।
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম বলেছেন, ‘এখন অবস্থান ভালো করা ছাড়া আর কোনো লক্ষ্য নেই। কারণ প্রথম দিনেই আমরা বড় সুযোগ নষ্ট করেছি বেলজিয়ামের কাছে হেরে। ঐ ম্যাচে প্রতিপক্ষ দাবাড়ুদের রেটিং বিবেচনায় বাংলাদেশের জেতা উচিত ছিল।’
প্রথম ম্যাচে শক্ত প্রতিপক্ষই ছিল বাংলাদেশের। ছয় বোর্ডেই বাংলাদেশের দাবাড়ুদের চেয়ে বেশি রেটিংধারী খেলোয়াড় ছিলেন জার্মানির। এর মধ্যে ফাহাদ রহমান হারিয়েছে গ্র্যান্ডমাস্টার লুইস অ্যাঞ্জেলসকে। গ্র্যান্ডমস্টার রিফাত বিন সাত্তার ড্র করেছেন জার্মান গ্র্যান্ডমাস্টার ডেনিস ওয়াগনের সঙ্গে। বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ৪.৫-১.৫০ গেম পয়েন্টে।
Advertisement
দ্বিতীয় ম্যাচে বেলারুশের বিপক্ষে ৪-২ গেম পয়েন্টের হারের পরও বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর। কারণ বেলজিয়ামের দাবাড়ুরা ছিলেন বাংলাদেশের দাবাড়ুদের চেয়ে কম রেটেড। কিন্তু ভালো সম্ভাবনা থাকার পরও বাংলাদেশ হেরে যায় ৩.৫-২.৫ গেম পয়েন্টে।
এই রাউন্ডে নিয়াজ মোরশেদ ড্র করেছেন তার চেয়ে ১২৬ কম রেটেড একজন ফিদে মাস্টারের বিপক্ষে। রিফাত তার চেয়ে ৩০৮ কম রেটেড খেতাববিহীন দাবাড়ুকে হারিয়েছেন। রানী হামিদও হারিয়েছে খেতাববিহীন প্রতিপক্ষকে। কিন্তু এই রাউন্ডে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন শারমিন সুলতানা শিরিন, ফাহাদ রহমান ও নোশিন আনজুম।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় ৪-২ গেম পয়েন্টে। এ ম্যাচটিতে কমপক্ষে ড্র করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। পরের ম্যাচে বুলগেরিয়ার কাছে শোচনীয়ভাবে হারে ৬-০ গেম পয়েন্টে। ষষ্ঠ ম্যাচে কিরগিজস্তানের বিরুদ্ধে ৪-২ গেম পয়েন্টের জয় পায় বাংলাদেশ।
প্রথম ৬ ম্যাচে বাংলাদেশ যে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে তার মধ্যে সর্বাধিক ৩ পয়েন্ট এসেছে আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমানের হাত ধরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ পয়েন্ট করে এনে দিয়েছেন উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ ও দেশের তৃতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তার। এছাড়া ১ পয়েন্ট করে পেয়েছেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান, মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার রানী হামিদ, শিরিন শারমিন, ওয়ালিজা ও নোশিন আনজুম।
Advertisement
আরআই/এসএএস/এমএস