বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আক্রমণের খবর পেয়ে ছুটে এসে নিহত হওয়া তৎকালীন সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতারাও কর্নেল জামিলের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
Advertisement
শনিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে তার সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তারা।
বঙ্গবন্ধুর বাসায় আক্রমণের কথা শুনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে ছুটে আসেন বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব তৎকালীন কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি সোবহানবাগ মসজিদের কাছে পৌঁছালে কর্নেল জামিলকে থামায় পিজিআর কনভয়। কারণ জানতে চাইলে তাকে বলা হয়, সামনে সেনা ইউনিট রয়েছে এবং গোলাগুলি চলছে। সামনে আগানোর জন্য তিনি সেনাদের বোঝাতে চেষ্টা করেন।
সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে তিনি জিপে চেপে বসেন এবং নিজেই গাড়ি চালিয়ে ৩২ নম্বর রোডে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। জিপে বসার পরপরই গুলি করা হয় কর্নেল জামিলকে। নীতি ও কর্তব্যের প্রতি অবিচল থেকে সাহসিকতার চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন দায়িত্বশীল এই বীর সৈনিক।
Advertisement
কর্নেল জামিলের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৯ সালে তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে সরকার। সেনাবাহিনীও তাদের এই বীর সেনাকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদা দিয়ে সম্মানিত করে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।
এইউএ/এমএসএইচ
Advertisement