পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষাসহ এ দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরের জন্য সকল কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিলেন। তিনিই প্রথম সারাদেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ শুরু করেন। জাতি তার ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারবে না। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আন্তরিকভাবে কাজ করেই তার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।
Advertisement
আজ শনিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরের অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘শোক হোক শক্তি’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে প্রাণ হারানো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবেন। জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও পরম দৃঢ়তায় পিতার অসমাপ্ত কাজ ও আদর্শ বাস্তবায়ন করে বিশ্বের দরবারে দেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণকালেও মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করে তিনি বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলে একযোগে কাজ করলে আগামী বছরেই বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. বিল্লাল হোসেন, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ এবং বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।
Advertisement
সভার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট প্রাণ হারানো সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল হয়। এতে চিকিৎসাধীন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনসহ দেশের সকল করোনা আক্রান্ত মানুষের আশু রোগমুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।
এমইউ/এইচএ/এমকেএইচ