করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাফল্য, বিশাল শ্রমশক্তি ও অভ্যন্তরীণ বাজার থাকায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থানান্তরের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
Advertisement
তিনি বলেন, এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের শিল্পসমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে শিল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে শিল্পমন্ত্রী এসব বলেন।
শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন মাহমুদ এবং এ কে এম শামসুল আরেফিন।
Advertisement
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম। এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দফতর, সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে দেশের সব সেক্টরে পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনের ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওপর বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জনের মূল দায়িত্ব বর্তায় উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিল্পমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন। এ সময় শিল্প সচিবসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এসআই/এমআরএম/জেআইএম