বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেবা প্রদান, করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য কনভালেসেন্ট প্লাজমা ডোনেশন উদ্বোধনসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
Advertisement
বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য হাসপাতালের বহির্বিভাগে বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেবা প্রদান, করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য কনভালেসেন্ট প্লাজমা ডোনেশন উদ্বোধনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়।
সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, বুকে কালোব্যাজ ধারণের মধ্য দিয়ে শোক দিবস পালনের কর্মসূচি শুরু করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বি ব্লকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের বহির্বিভাগে বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেবা প্রদান, ডা. মিল্টন হলে করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য কনভালেসেন্ট প্লাজমা ডোনেশন কর্মসূচির উদ্বোধন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বনানী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণ, বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল বাদ ফজর থেকে জোহর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খানি ইত্যাদি।
Advertisement
এসব কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুল জামাল, নার্সিং অনুষদের অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম প্রমুখসহ শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, শিক্ষক সমিতি, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, স্বাধীনতা মেডিকেল টেকনোলজি পরিষদ, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নির্দেশে এবারই প্রথম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রোগী দেখা শুরু করেন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত রোগী দেখেন। সকাল ১০টায় করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য কনভালেসেন্ট প্লাজমা ডোনেশন কর্মসূচির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
সন্ধানী, কেন্দ্রীয় পরিষদের সহায়তায় ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
Advertisement
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আন্তরিকতা, দায়িত্ববোধ ও মানবিকতা নিয়ে প্রত্যেককে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের প্লাজমা দানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবধরনের সহায়তা প্রদানের কথা উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ ওইদিন শাহাদাৎবরণকারী সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সতর্কতার সাথে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য কনভালেসেন্ট প্লাজমা ডোনেশন কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় শোক দিবসের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল (ইনডোর), ফিভার ক্লিনিক, পিসিআর ল্যাব ও জরুরি বিভাগ প্রচলিত নিয়মে খোলা ছিল।
এমআরএম/জেআইএম