আন্তর্জাতিক

ইরানের চারটি জ্বালানিবাহী জাহাজ জব্দের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ইরানের চারটি জ্বালানিবাহী জাহাজ জব্দের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেলা, বেরিং, পান্ডি ও লুনা নামের জাহাজগুলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ১১ লাখ ব্যারেল গ্যাসোলিন নিয়ে ভেনেজুয়েলা যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।

Advertisement

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, জাহাজগুলো জব্দ করতে কোনও ধরনের সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হয়নি। বরং মার্কিন প্রশাসন জাহাজের মালিক, ইনস্যুরার ও ক্যাপ্টেনদের নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে জাহাজগুলো যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে বাধ্য করেছে। জাহাজগুলো এখন মার্কিন সম্পদে পরিণত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে ভেনেজুয়েলায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হোজাত সোলতানি জাহাজ জব্দের খবরকে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি মিথ্যা প্রচারণা বলে দাবি করেছেন। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘জাহাজগুলো ইরানের নয়, এর মালিক বা পতাকা কারোরই ইরানের সঙ্গে কিছু নেই। এটা আরেকটি মিথ্যা এবং মার্কিন প্রোপাগান্ডা মেশিনে প্রস্তুত মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের প্রক্রিয়া। সন্ত্রাসী ট্রাম্প মিথ্যা অপপ্রচার ব্যবহার করে ইরানের কাছে তার পরাজয় ও অবমাননার ক্ষতি পূরণ করতে পারবেন না।’

জাহাজের গতিবিধি নজরদারি সংস্থা থেকে জানা গেছে, বেলা, বেরিং, পান্ডি ও লুনা বর্তমানে কোথায় রয়েছে তা নিশ্চিত নয়। কয়েক সপ্তাহ আগেই জাহাজগুলো তাদের ট্র্যাকিং ডিভাইস বন্ধ করে দেয়। ১১ মে ভূমধ্যসাগরে গ্রিসের কাছে থাকতে নজরদারি থেকে গায়েব হয়ে যায় বেরিং। ২ জুলাই ফিলিপাইনের কাছে একই কাজ করে বেলা। লুনা ও পান্ডির সবশেষ খবর পাওয়া গেছে ১০ জুলাই ওমান উপকূলে থাকতে।

Advertisement

ইরান, ভেনেজুয়েলা, উত্তর কোরিয়ার মতো প্রতিপক্ষ দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ধরে রাখতে জাহাজমালিকদের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মে মাসে তারা সমুদ্রে বিপজ্জনকভাবে জাহাজ থেকে জাহাজে পণ্য স্থানান্তর এবং ট্র্যাকিং ডিভাইস বন্ধ করে দেয়ার কৌশলের ওপর নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে ইরান ও ভেনেজুয়েলা উভয়ই সম্প্রতি তেল পরিবহনে এ ধরনের কৌশল কাজে লাগিয়েছিল।

সূত্র: আল জাজিরাকেএএ/