মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে যে শান্তি চুক্তি হয়েছে সেটিকে ভালো চোখে দেখছে না হামাস।
Advertisement
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলছেন, এই সমঝোতা ফিলিস্তিনি জাতির স্বার্থ রক্ষা করবে না। সংযুক্ত আরব আমিরাত ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব ও ফিলিস্তিনবিরোধী অপরাধযজ্ঞের ‘প্রতিদান’ হিসেবে তেল আবিবের সঙ্গে এই সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে তিনি কটাক্ষ করেন। পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েলের এ চুক্তির তথ্য এক টুইট বার্তায় দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তির মাধ্যমে পশ্চিম তীরের যেসব এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রয়োগের আলোচনা করছিল তা স্থগিত করতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।
চুক্তির বিষয়ে হামাসের আরেক মুখপাত্র ফাউজি বারহুম বলেছেন, তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনি জাতির পিঠে ছুরি বসিয়েছে।এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ইহুদিবাদী ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করবে।
Advertisement
ইসরায়েল এবং আরব আমিরাতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এই শান্তি চুক্তির আলোচনা চালিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র; সম্প্রতি এই আলোচনায় গতি পায় বলে হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনার ফল এই শান্তি চুক্তি; যা সম্প্রতি গতি পায়।
এদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন বলেছে, এই সমঝোতার মাধ্যমে ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভাকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে। জিহাদ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা দাউদ শিহাব এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আরব আমিরাত এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসরাইলের মোকাবিলায় নতজানু নীতি গ্রহণ করেছে এবং এর ফলে তেলআবিবের ফিলিস্তিন বিদ্বেষী তৎপরতা আরও জোরদার হবে।
এনএফ/এমএস
Advertisement