মাঠে নামার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের আগ্রহের কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফাওয়াদ আলম। কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম ম্যাচ শুরুর অনেক আগে থেকেই একাদশে চাইছিলেন ১১ বছর টেস্ট না খেলা ফাওয়াদকে।
Advertisement
কিন্তু খেলা শুরুর পর যারপরনাই হতাশ করেছেন করাচির ৩৪ বছর বয়সী ফাওয়াদ। উইকেটে টিকতে পেরেছেন মাত্র ৪ বল। ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকসের করা সোজা এক ডেলিভারির লাইন মিস করে ধরা পড়েছেন লেগ বিফোরোরে ফাঁদে। যদিও আম্পায়ার প্রথম আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে তার বিদায়ঘণ্টা বাজায় ইংল্যান্ড।
২০০৯ সালে নিজের অভিষেক ম্যাচে ১৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু বাদ পড়ে যান আর মাত্র দুই টেস্ট পড়েই। মাঝের ১১ বছরে নিজ দেশের ৮৭টি টেস্ট বাইরে বসে দেখার পর অবশেষে সুযোগ পেয়েছেন একাদশে। কিন্তু অভিষেকের মতো ফেরাটা রঙিন হলো না, বড্ড বিবর্ণ থেকে গেছে শূন্য রানে ফেরায়।
শুধু ফাওয়াদ একা নয় অবশ্য, পুরো দিনটাই বড্ড হতাশার কেটেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। সাউদাম্পটনেরসিরিজে সমতা ফেরানোর মিশনে খেলতে নেমে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে মাত্র ৪৫.৪ ওভার ব্যাটিং করতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান, স্কোরবোর্ডে সাকুল্যে জমা পড়েছে ১২৫ রান।
Advertisement
আশার কথা, এখনও অপরাজিত রয়েছেন দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজম (৫১ বলে ২৫) ও আগের ম্যাচে ইতিবাচক ব্যাটিং করা মোহাম্মদ রিজওয়ান (৫ বলে ৪)। হতাশ করেছেন শান মাসুদ (৫ বলে ১), অধিনায়ক আজহার আলি (৮৫ বলে ২০), টেস্ট স্পেশালিস্টখ্যাত আসাদ শফিক (১৩ বলে ৫) ও প্রায় এক যুগ পর টেস্ট খেলতে নামা ফাওয়াদ আলম (৪ বলে ০)।
স্বাগতিকদের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন বল হাতে নেয়া চার পেসারই। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তেমন ভালো করতে না পারা জেমস অ্যান্ডারসন নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন সাউদাম্পটনে। তার শিকার ২ উইকেট। এছাড়া ১টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন স্টুয়ার্ট ব্রড, স্যাম কারান ও ক্রিস ওকস।
এসএএস/এমএস
Advertisement