রুপার তৈরি কোমরের বিছা এবং চেইনই কাল হলো এক বছর সাত মাস বয়সী শিশু আজমাইন সারোয়ার আলিফের। আপন মামির যোগসাজশে গত ৮ আগস্ট তাকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দেয়া হয় নদীতে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকশিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
পরদিন পাশের কালুহাটি এলাকার বড়াল নদী থেকে আলিফের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ। নিহত আলিফ চকশিমুলিয়া এলাকার মোহাম্মদ তারেকের ছেলে।
এ ঘটনায় আলিফের মামি পারভীন বেগম (৩৫) ও তার সহযোগী আজাদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তারা আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বলেন, এ ঘটনায় পারভীন বেগমকে এজাহারনামীয় আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা চাম্পা বেগম।
Advertisement
বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অভিযানে নামে চারঘাট থানা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় এজাহারনামীয় আসামি পারভীন বেগমকে। পরবর্তীতে রিমান্ডে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
পারভীন পুলিশকে জানান, একই গ্রামের মাদকসেবী আজাদের সহায়তায় শিশু আলিফকে হত্যা করা হয়। গত ৭ আগস্ট তারা আলিফকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক পরদিন শিশুটিকে কোলে নিয়ে পারভীন তার বাড়ির সামনে রাস্তায় অপেক্ষমান সহযোগী আজাদের হাতে তুলে দেন।
পরে আজাদ শিশুটিকে হত্যা করে বড়াল নদীতে ফেলে দেন। তার আগে শরীরে থাকা রুপার চেইন ও কোমরের বিছা খুলে নেন আজাদ। পরে সেগুলো পারভীনকে ফিরিয়ে দেন। বিনিময়ে তাকে ৩০০ টাকা দেন পারভীন।
অভিযান চালিয়ে পারভীনের বসতবাড়ির ভেতর আঙিনায় লিচুগাছের তলার নিচে মাটিতে পোতা অবস্থায় শিশু আলিফের রুপার চেইন ও কোমরের বিছা উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
বিএ