দেশজুড়ে

ফেরত নেয়া হচ্ছে সেই আ.লীগ নেতার প্রতিবন্ধী ভাতা

অবশেষে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলনকারী সেই আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজনের ভাতার টাকা ফেরত নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে তাদের নামে ইস্যুকৃত বই বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভাতা যাচাই-বাছাই কমিটির এক জরুরি সভায় ভাতার টাকা ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

এছাড়া এই জালিয়াতির জন্য পৌরসভা এলাকার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের এক সমাজকর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক, মির্জাপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র চন্দনা দে, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকাভুক্ত পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আন্ধরা গ্রামের বাসিন্দা গোপাল গোস্বামী ও একই এলাকার জীতেন সূত্রধরের উত্তোলন করা এক বছরের ভাতা ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের নতুন দুজন প্রতিবন্ধীকে সেই টাকা দেয়া হবে।

Advertisement

বুধবার (১২ আগস্ট) জাগো নিউজে ‘পায়ে ব্যথা, তাই প্রতিবন্ধী ভাতা তোলেন আ.লীগ নেতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ভাতা উত্তোলনকারী ওই দুই ব্যক্তির নামে ইস্যুকৃত বই দুটি বাতিল করেন।

এছাড়াও এই জালিয়াতির কারণে পৌরসভার দায়িত্বে থাকা সমাজকর্মী আব্দুল মান্নানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোপাল গোস্বামীর (৬৫) এক পায়ে সামান্য ব্যথা। এজন্য নিজেকে প্রতিবন্ধী দাবি করে তিনি সরকারি ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন।

এছাড়া একই এলাকার জীতেন সূত্রধর (৬২) নিজেকে প্রতিবন্ধী দাবি করে ভাতা নিচ্ছিলেন। প্রতিবন্ধী না হয়েও পৌরসভা ও সমাজসেবা কার্যালয়ের জরিপের প্রতিবন্ধী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে তারা সরকারি ভাতা নিচ্ছিলেন।

Advertisement

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, তারা দুজন জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করেছেন। সেই ভাতা ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নতুন দুজন প্রকৃত প্রতিবন্ধীর নামে ওই টাকা প্রতিস্থাপন করা হবে।

এস এম এরশাদ/আরএআর/পিআর