এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার চিরুনি অভিযানের পঞ্চম দিনে ১২ হাজার ৯৯৬টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৭২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
Advertisement
এছাড়া ৭ হাজার ৯৩৪টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময় ১৪টি মামলায় মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
গত ৮ আগস্ট থেকে দশ দিনব্যাপী শুরু হওয়া চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ৬৫ হাজার ৮৬৬টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৩৫৬টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ৭১০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৬২৭টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬টি মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৫৪৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৪৩টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৭৩৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৭৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৪১০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮৫২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১টি মামলায় ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ৩৪৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৮৭২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
Advertisement
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৩৭৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১০৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩টি মামলায় ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৮৬৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬৭৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৭৭৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৪৭৭টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫০৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৩০৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭২৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে ৬০৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
এএস/এমএসএইচ/পিআর