‘গ্যাংনাম স্টাইল’। ২০১২ সালের শোবিজে সবচেয়ে উচ্চারিত শব্দ। বিশ্ব মাতানো গান এটি। বর্তমানে ইউটিউবে যে গানের ভিউ ৩.৭ বিলিয়নেরও বেশি। মানে ৩৭০ কোটিরও উপরে! ভিউয়ের বিচারে ইউটিউবে শীর্ষ তিনটি গানের একটি ‘গ্যাংনাম স্টাইল’।
Advertisement
২০১২ সালে প্রকাশ হওয়া গানটি বিশ্বের প্রায় সব দেশের শ্রোতাদেরকেই বিনোদেন দিয়েছে। বাংলাদেশেও তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে গানটি। বেজেছে স্কুল-কলেজ-হাটে-ঘাটে-নগর ও বন্দরে। শত শতবার এই গানকে প্যারোডি করা হয়েছে।
এই গান দিয়ে রাতারাতি বিশ্বখ্যাত তারকা বনে যান সাই। দক্ষিণ কোরীয় এই শিল্পীর আসল নাম কিন্তু পার্ক জায়ে-সাং। এমন একটা সুপারহিট গানের পর আর কিন্তু তেমন করে শোনা যায়নি তার নাম। কোথাও দেখাও মেলে না তার। একপ্রকার যেন হারিয়েই গেছেন সাই।
কোথায় তিনি? কেমন আছেন? খোঁজ খবর করতে গিয়ে দেখা গেল গান নিয়েই মেতে রয়েছেন এই শিল্পী। গ্যাংনাম স্টাইলের পর আরও বেশ কিছু গান তার প্রকাশ হয়েছে। তবে সেগুলো তেমন আলোচনা বা জনপ্রিয়তা পায়নি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তাই খবরেও নেই তিনি।
Advertisement
তবে নিজের দেশে সুপারস্টার মুডেই আছেন সাই। ‘গ্যাংনাম স্টাইল’-এর জনক এই কোরিয়ান পপ তারকা ২০২০ সালে এখন পর্যন্ত আয় করেছেন ৬০ মিলিয়ন ডলার! ২০১৮ সালের শেষের দিকে ‘ওয়াইজে’ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ করার পর ‘পি ন্যাশন’ নামে নিজেই একটি রেকর্ডিং লেভেল তৈরি করেছেন। সেখানে তার সঙ্গে কাজ করছে জেসি, হুয়নার মতো কোরিয়ার জনপ্রিয় তারকারা।
বর্তমানে নিজের গান ছাড়াও অন্যদের গান এবং ভিডিও পরিচালনা ও প্রযোজনার কাজও করছেন তিনি। চলতি আগস্টেই ‘পি ন্যাশন’ থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে জেসির একটি একক গান।
পার্ক জায়ে-সাং ওরফে সাই জন্মেছেন মধ্যবিত্ত একটি পরিবারে। সেখানে গান-বাজনার কদর কখনোই ছিলো না। সাইয়ের বাবা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। কোরিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজি বিষয় নিয়ে পড়তে এসে সাই সংগীতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। কিছুটা পাগলামি স্বভাবের এই মানুষটি দারুণ পছন্দ করেন পপ গান।
তাই নিজেও বেছে নিলেন পপ সংগীতকেই। তার প্রথম অ্যালবাম ‘দি সাইকো ওয়ার্ল্ড’। সেটি দক্ষিণ কোরিয়াতে ভালোই জনপ্রিয়তা পায়। তবে ২০১২ সালে ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ তাকে আন্তর্জাতিক তারকায় পরিণত করেছে।
Advertisement
দেখুন গ্যাংনাম স্টাইল :
এলএ/পিআর