সিরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেবে জর্ডান। দেশটির উত্তর দিকে অবস্থিত প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকায় জর্ডান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Advertisement
জর্ডানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, সীমান্ত ও বিমানবন্দর সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে সরকারি পর্যায়ে আলোচনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার থেকে আগামী এক সপ্তাহ সিরিয়ার জাবের সীমান্তের সঙ্গে জর্ডানের সীমান্ত বন্ধ থাকবে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ওমর রাজ্জাক এক টুইট বার্তায় বলেন, জাবের সীমান্ত দিয়ে করোনার বিস্তার ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই এখনই এই ভাইরাসের বিস্তার বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
Advertisement
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ইরাক এবং সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের বিষয়েও সরকার পর্যালোচনা করে দেখবে। জর্ডানের জন্য তাদের এসব সীমান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বেশিরভাগ বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই এগুলো ব্যবহৃত হয়।
প্রধানমন্ত্রী ওমর রাজ্জাক বলেন, সীমান্তে আমাদের বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে কারণ বিভিন্ন সীমান্ত স্থানীয়ভাবে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে বড় উৎসে পরিণত হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, দেশটিতে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কমপক্ষে ২৫ জন প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, সীমান্তে কোয়ারেন্টাইন-সহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি জারি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সাদ জাবের।
Advertisement
গত মার্চে জর্ডানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জর্ডান সরকার। ফলে আশেপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় জর্ডানে সংক্রমণ এবং মৃত্যু অনেক কম।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জর্ডানে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৮৩। এর মধ্যে মারা গেছে ১১ জন।
টিটিএন