সরকারের সদিচ্ছার সব ব্যাপারে সংশয় রাখা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কাউকে কোনো ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ছেড়ে দিলে বলা হয় জনগণের চাপে। এখানে সরকারের সদিচ্ছাকে সব ব্যাপারে সংশয়ে রাখবেন-এই কথা সঠিক নয়।
Advertisement
বুধবার (১২ আগস্ট) সিলেট জোনের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সরকারি বাসভবন থেকে ভাচুর্য়ালি এই সভায় যোগ দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে বলা হয়েছে, সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সভা-সমাবেশের কোনো কর্মসূচি তো এই করোনা ও বন্যাকালে হওয়ার কথা নয়। এখানে সভা-সমাবেশে বাধা দেয়ার কোনো তথ্য-প্রমাণ থাকলে আপনারা বলতে পারেন। এভাবে ঢালাও মন্তব্য করা সমীচীন নয়।’
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু গণপরিবহন করোনাকালের জন্য গৃহীত ব্যবস্থা হিসেবে সমন্বিত ভাড়া মেনে চলছে না এবং স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গাড়ি চালানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ অর্ধেক আসন খালি রাখার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে শতভাগ আসনে যাত্রী পরিবহন করছেন। ঈদের সময়ও এটা দেখা গেছে। ঈদের আগে এই প্রবণতাটা ছিল না। কিন্তু ঈদের সময় থেকে এটা দৃশ্যমান, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রতিশ্রুতি ও সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
Advertisement
তিনি বলেন, জনগণের ভোগান্তি যে সব পরিবহন তৈরি করছে, শৃঙ্খলা নষ্ট করছে, সিদ্ধান্ত মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে মালিক সংগঠনগুলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিআরটিএকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে জানিয়ে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, এ প্রেক্ষাপটে আমাদের সতর্কতা ও সচেতনতা আরও বাড়ানো জরুরি। ঢাকায় লক্ষণ ছাড়াও সংক্রমণ ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞরা (বলছেন) ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার কমছে-এ কথাও বলা যাবে না। একদিকে আমাদের মাস্ক পরিধান করা অতি অবশ্যক ও জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অপরদিকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা রাখতে হবে।’
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির অসুস্থতায় মর্মাহত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি করোনা সংক্রমণে এখন চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। আমরা তার রোগমুক্তি কামনা করছি। প্রণব মুখার্জির মতো শুভাকাঙ্ক্ষীর অসুস্থতায় আমরা মর্মাহত।
এইউএ/এসআর/এমকেএইচ
Advertisement