ইবাদতের জন্য ওজু শর্ত। ওজু ছাড়া নামাজ হয় না। নামাজের জন্য এবং পবিত্রতা অর্জনে ওজু ও তায়াম্মুমকে ফরজ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-'হে মুমিনগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্যে উঠ, তখন নিজের মুখমণ্ডল ও উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং উভয় পা টাখনুসহ ধুয়ে নাও। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন/অসুস্থ হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, নিজের মুখমণ্ডল ও উভয় হাত মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি নিজ নেয়ামত পূর্ণ করতে চান। যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করতে পার।' (সুরা মায়েদা : আয়াত ৬)
Advertisement
ওজুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের পর এমন একটি বিশেষ দোয়া রয়েছে; যা পড়লে ওজুকারী ব্যক্তির জন্য জান্নাতের সব দরজা খুলে দেয়া। হাদিসে এসেছে-হজরত উক্ববা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি উত্তম এবং পূর্ণাঙ্গরূপে ওজু করার পর বলে-أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُউচ্চারণ : আশহাদু আঁল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।অর্থ : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসুল।তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়। সে ইচ্ছা করলে এর যে কোনো দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে।' (মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা মুমিন মুসলমানের পরকালীন মুক্তির জন্য অসংখ্য উপায় ঘোষণা করেছেন। আর এর মাধ্যমে মুমিন মুসলমান যাবতীয় অন্যায় থেকে ফিরে থেকে তাসবিহ-তাহলিল-তাকবির ও দোয়া-দরূদের মাধ্যমে আমলি জিন্দেগি যাপন করে থাকে। তাদের জন্য ওজুর শেষের এ দোয়াটিও অন্যতম একটি আমল। যার বিনিময়ে জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়েই সে প্রবেশ করতে পারবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত আমলটি নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/জেআইএম