দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা অক্ষুণ্ন রাখতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চার বিভাগকে নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
Advertisement
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদ মবিলাইজেশন এবং দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার প্রতি আমাদের যত্নশীল হতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিবদের সঙ্গে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ভার্চুয়াল সমন্বয় বৈঠক করে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অংশ নেন। সচিবরা আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
Advertisement
বৈঠকের শুরুতে অর্থমন্ত্রী করোনা মহামারির মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থবছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হওয়ায় এবং মাথাপিছু আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ চার বিভাগে আমরা একটি টিম হিসেবে কাজ করছি। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আমাদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদ মবিলাইজেশন এবং দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও সব ধরনের জটিলতা নিরসনে প্রতি তিন মাস পর পর একটি সমন্বয় বৈঠক করি। করোনার কারণে গত কয়েক মাস আমরা বৈঠক করতে পারিনি। এখন থেকে নিয়মিত প্রতি তিন মাস পর পর বৈঠক হবে। এখন থেকে একেক সময় একেক বিভাগের দফতরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কাজ করার গতি যাতে ঠিক থাকে তাই মাঝে মাঝে আমরা আমাদের পারফরম্যান্স রিভিউ করবো এবং কীভাবে মন্ত্রণালয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সে বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করবো। কর্মক্ষেত্রে যদি কোনো জটিলতা তৈরি হয় আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা হবে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব জানান, অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ের হিসাব এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে তুলনামূলকভাবে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। কিন্তু এখন যেহেতু আমদানি রফতানি বাড়ছে তাই রাজস্বও বাড়তে শুরু করেছে।
Advertisement
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধিত আকারে প্রণয়নের অগ্রগতি অবহিত করেন।
অর্থ সচিব বাজেট ঘাটতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার নিমিত্তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
পরবর্তী বাজেট কেমন হবে, কোন কোন খাতকে প্রাধান্য দেয়া হবে সে বিষয়ে এখন থেকে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। সমন্বয় সভার আলোচনার মাধ্যমে সময়ে সময়ে তা আপডেট করার ইঙ্গিত দেন অর্থমন্ত্রী।
এমইউএইচ/এএইচ/এমকেএইচ