ধর্ম

বিশ্বনবির নবুয়তের সত্যতায় আগের নবিদের বর্ণনা

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তের সত্যতায় আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে আগের কয়েকজন নবিকে নির্বাচিত করার কথা তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-إِنَّ اللّهَ اصْطَفَى آدَمَ وَنُوحًا وَآلَ إِبْرَاهِيمَ وَآلَ عِمْرَانَ عَلَى الْعَالَمِينَ - ذُرِّيَّةً بَعْضُهَا مِن بَعْضٍ وَاللّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ'নিঃসন্দেহে আল্লাহ আদম (আ.), নূহ (আ.), ইবরাহিম (আ.)-এর বংশধর এবং ইমরানের খান্দানকে নির্বাচিত করেছেন। যারা বংশধর ছিলেন পরস্পরের। আল্লাহ শ্রবণকারী ও মহাজ্ঞানী।' (সুরা ইমরান : আয়াত ৩৩-৩৪)

Advertisement

আয়াতের ব্যাখ্যামূলক অনুবাদনিশ্চয় আল্লাহ তাআলা (নবুয়তের জন্য) মনোনীত করেছেন (হরজত) আদম (আ.)কে, (হজরত) নূহ (আ.)কে, (হজরত) ইবরাহিম (আ.)এর বংশধরকে (যেমন- হজরত ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুবসহ বনি ইসরাইলের সব পয়গাম্বর। যারা হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের বংশধর ছিলেন। আমাদের রাসুল হজরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের বংশধর)।আর ইমরানের বংশধরকে (এই ইমরান হজরত মুসা আলাইহিস সালামের পিতা হলে বংশধরের অর্থ হবে হজরত মুসা ও হারুন। আর যদি ইনি মারইয়ামের পিতা ইমরান হন তবে বংশধরের অর্থ হবে হজরত ঈসা ইবনে মারইয়াম। মোট কথা- নবুয়তের জন্য তাদেরকে) বিশ্ববাসীর উপর মনোনীত করেছেন।

তাঁরা একে অপরের সন্তান। (যেমন- সবাই হজরত আদম আলাইহিস সালামের সন্তান। এবং সবাই হজরত নূহ আলাইহিস সালামের সন্তান। ইমরানের বংশধর ও ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সন্তান।

আল্লাহ শ্রেষ্ঠ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।( তিনি সবার কথা শোনেন এবং সবার অবস্থা জানেন। যার কথা ও কাজ নবুয়তের উপযুক্ত দেখেছেন, তাঁকে তিনি নবি করেছেন।)

Advertisement

আয়াত দু’টি নাজিলের উদ্দেশ্যআলোচ্য আয়াত দুটি সুরা আল-ইমরানের। এ আয়াতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রেসালাতের সত্যয়ন করা হয়েছে। যেসব লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করতো না, আলোচ্য আয়াতে তাদের পথ প্রদর্শনের জন্য আগের নবি-রাসুলদের বর্ণনা করা হয়েছে। যাতে অবিশ্বাসীদের সন্দেহ দূর হয়।

আগের নবি-রাসুলদের আলোচনায় হজরত আদম, নূহ, ইবরাহিম ও ইমরানের বংশধরদের কথা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে মূলত হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের আলোচনাই মূল উদ্দেশ্য। এর আগে হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের মা ও নানার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। তারপর হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের আলোচনা উদ্দেশ্য। এ আলোচনার কারণ ও উপযোগিতা পরের আয়াতগুলোতে বর্ণিত হবে।

মূল কথা হলো-শেষ জামানায় মুসলিম সম্প্রদায়কে হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। এ কারণে তাঁর পরিচয় ও লক্ষণাদির বর্ণনায় কুরআন অন্যান্য পয়গাম্বরদের আলোচনার তুলনায় অধিক যত্নবান। ( তাফসিরে মারেফুল কুরআন)

এমএমএস/এমকেএইচ

Advertisement