দেশজুড়ে

গোলাপগঞ্জে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারী নিহত

সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রবাসীর টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় জনতার গণপিটুনিতে এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন। অপর ছিনতাইকারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ছিনতাইকারীদের মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউপির বহরগ্রাম ফেরিঘাটের পাশে এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাইকারীর মরদেহ ও অপর ছিনতাইকারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত ও আহত ছিনতাইকারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে বুধবারীবাজার ইউপির বহরগ্রামের মৃত হাজী সরফ উদ্দিনের ছেলে লন্ডন প্রবাসী আফরোজ মিয়া উপজেলার আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলন করে তিনি চাচাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে বাড়িতে ফিরছিলেন।এ সময় বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা পশ্চিমপাড়া লম্বা পুলের কাছে আসা মাত্র চারটি মোটরসাইকেল করে আটজন ছিনতাইকারী সিএনজি অটোরিকশাকে ঘেরাও করে আফরোজ মিয়াকে অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে আট ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন দিকে ছত্রভঙ হয়ে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে দুই ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে করে দ্রুতগতিতে গোলাপগঞ্জের উদ্দশ্যে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে বহরগ্রাম ফেরিঘাটে দুইজনকে ধরে ফেলেন। পরে তাদের গণপিটুনি দেয়া হয়।এতে এক ছিনতাইকারী ঘটনাস্থলে নিহত হন। এছাড়া অপর ছিনতাইকারী গুরুতর আহত হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা ওই ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।ঘটনার খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই ফরিদ আহমদ, জাফর আলম, মামুনুর রশিদ ও আদনান সাকিবসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়।এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম ফজলুল শিবলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ছয় ছিনতাইকারী পালিয়ে গেলেও দুইজন গোলাগঞ্জের দিকে আসতে চাইলে কুশিয়ারা নদীর কারণে পালাতে না পারায় স্থানীয়রা তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।তিনি আরো জানান, অপর ছিনতাইকারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ছয় ছিনতাইকারীকে পুলিশ আটকের চেষ্টা করছে।ছামির মাহমুদ/এআরএ/বিএ

Advertisement