অর্থনীতি

নামছে স্বর্ণ, সঙ্গে রুপাও

অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বড় দরপতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেও স্বর্ণের দামে পতন হয়েছে। তবে এখনও প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ডলারের ওপরে রয়েছে।

Advertisement

এদিকে স্বর্ণের পাশাপাশি দরপতন হয়েছে রুপারও। সম্প্রতি স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার দামে অস্বাভাবিক উত্থান হয়। এতে সাত বছরের মধ্যে রুপার দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এই রেকর্ড দামে পৌঁছানোর পরই রুপার দাম কমতে শুরু করে।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকেই স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। তবে জুলাই মাসের শেষার্ধ্ব থেকে স্বর্ণের দাম বাড়ার পালে নতুন হাওয়া লাগে। এতে সৃষ্টি হয় একের পর এক রেকর্ড। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই হাজার ডলারে পৌঁছায়।

এদিকে রুপার দামেও বড় উত্থান হয়। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে রুপার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে তেমন চমক ছিল না। কিন্তু জুলাই মাসের শেষার্ধ্বে এসে হঠাৎ করেই হু হু করে বাড়তে থাকে রুপার দাম। এতে ২০১৩ সালের মার্চের পর রুপার দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

Advertisement

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে উত্তাপ ছড়ানো স্বর্ণের দাম জুলাই মাসের শেষার্ধ্বে এসে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকায় মূল্যবান ধাতুটি ২৭ জুলাই অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। তবে এখানেই স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা থেমে থাকেনি। দফায় দফায় দাম বেড়ে গত সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড দুই হাজার ৭৪ ডলারে ওঠে

রেকর্ড এই দামে ওঠার পর কমতে থাকে স্বর্ণের দাম। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবার ৩৪ দশমিক ১০ ডলার কমে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩৪ দশমিক ৮০ ডলারে নেমে আসে।

এরপর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবারও স্বর্ণের দরপতন হয়। এদিন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছয় ডলার কমে যায়। আর মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০ ডলার কমে গেছে। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৮ ডলারে।

এই দরপতনের ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে গেছে স্বর্ণের দাম। তবে এখনও মাসের ব্যবধানে ১২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং বছরের ব্যবধানে ৩৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি রয়েছে স্বর্ণের দাম।

Advertisement

এদিকে বছরের শুরুর দিকে স্থিতিশীল থাকলেও জুলাই মাসের শেষার্ধ্বে স্বর্ণের দেখানো পথে হাঁটতে শুরু করে রুপা। হু হু করে দাম বেড়ে প্রতি আউন্স রুপার দাম ২৮ দশমিক ২৬ ডলারে পৌঁছে যায়। এর মাধ্যমে ২০১৩ সালের মার্চের পর প্রতি আউন্স রুপার দাম আবার ২৮ ডলার ছাড়িয়ে যায়।

স্বর্ণের মতো রেকর্ড দামে পৌঁছে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস থেকে রুপার দামেও পতন শুরু হয়। শুক্রবার বিশ্ববাজারে রুপার ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ দরপতন হয়। দরপতনের এই ধারা চলতি সপ্তাহেও অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে প্রতি আউন্স রুপার দাম দশমিক ১৮ ডলার বা দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে গেছে।

এই দরপতনের পরও সপ্তাহের ব্যবধানে এখনও রুপার দাম ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি রয়েছে। পাশাপাশি মাসের ব্যবধানে ৫১ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং বছরের ব্যবধানে ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রুপা।

এমএএস/বিএ/জেআইএম