ম্যাচ শুরু হতে বাকি ছিল আর মাত্র মিনিট দশেক সময়। দুই দলের ফুটবলাররা সেরে নিচ্ছিল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কিন্তু মাঠে আর নামা হয়নি দুই দলের কারও। কেননা ম্যাচে অংশগ্রহণকারী এক দলের ১০ ফুটবলারের শরীরে পাওয়া গেছে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। ফলে তৎক্ষণাৎ বাতিল করে দেয়া হয়েছে সেই ম্যাচটি।
Advertisement
ঘটনা ব্রাজিলের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট চ্যাম্পেনাতো ব্রাসিলেরোর প্রথম ম্যাচ শুরুর ঠিক আগের। যেখানে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল সাও পাওলো এবং গোইয়াসের। কিন্তু ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে জানা গেছে, গোইয়াসের ১০ ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত। ফলে বাধ্য হয়েই বাতিল করা হয়েছে ম্যাচটি।
সাও পাওলোর বিপক্ষে রোববারের ম্যাচটির জন্য ২৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল গোইয়াস। সেখান থেকে ১০ ফুটবলারের দেহে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। এই দশজনের মধ্যে আবার ৮ জনই ছিলেন সাও পাওলোর বিপক্ষে ম্যাচের মূল একাদশে। সময়মতো রিপোর্ট না পেলে হয়তো প্রাণঘাতী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তো আরও অনেকের মাঝে।
গোইয়াসের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় সবার করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। কিন্তু ঠিকভাবে প্যাকেজড হয়নি বলে সেই রিপোর্ট গ্রহণ করেনি ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। শুক্রবার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আরেকবার করানো হয় পরীক্ষা। সেখানে করোনা ধরা পড়ে দশজনের নমুনায়।
Advertisement
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যখন নিশ্চিত হওয়া গেছে যে গোইয়াসের ১০ ফুটবলার করোনা পজিটিভ, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে গোইয়াসের মেডিকেল ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করি। তারা আরেকটি কাউন্টার পরীক্ষার অনুরোধ করে এবং আমরা সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিলাম। ম্যাচটা যেন বাতিল না হয় সে চেষ্টাই করছিলাম। কিন্তু ১০ খেলোয়াড় পজিটিভ আসায় আর ঝুঁকি নেয়া হয়নি।’
গোইয়াসের অনুরোধ মোতাবেক কাউন্টার পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে সময় লেগে যায়। ম্যাচ শুরুর তখন বাকি ছিল মাত্র ১০ মিনিট সময়। কাউন্টার পরীক্ষার রিপোর্টেও গোইয়াসের মূল একাদশের ৮ খেলোয়াড়সহ মোট ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট মার্সেলো আলমেইড়া এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
ম্যাচের প্রতিপক্ষ সাও পাওলো ম্যাচটি বাতিলের সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করেছে। তারা টুইটারে লিখেছে, ‘সাও পাওলো তাদের সমর্থন জানাচ্ছে রোববারের ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতি। এছাড়া গোইয়ানিয়ার ক্লাবটির জন্য শুভকামনা। এখন স্বাস্থ্য নিরাপত্তার চেয়ে বড় কিছু নেই।’
এসএএস/জেআইএম
Advertisement